দেরনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করছেন রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা
ঢাকা: লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় দানিয়েলের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় ছয় বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহর দেরনায় আরও কিছু বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আর বিবিসি জানিয়েছে দেরনায় ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এতে বলা হয়, লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ঘূর্ণিঝড় দানিয়েল ও বন্যার তাণ্ডবে পূর্বাঞ্চল বিশেষত দারনা, সাহাত, আল-বাইদা, আল-মার্জ শহর ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে দারনা বাঁধ ধসে বন্যায় কয়েক হাজার মানুষ নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে আরও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এমতাবস্থায় দারনা শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবস্থা জানার জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে ঘূর্ণিঝড় দানিয়েলের প্রভাবে দারনা শহরে বসবাসরত ছয় বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাদের মধ্য চারজনের প্রাথমিক পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- রাজবাড়ি জেলার শাহীন ও সুজন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার মামুন ও শিহাব। তবে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বাকি দুই জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া দারনা শহরে বসবাসরত আরও কয়েকজন বাংলাদেশি নিখোঁজ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে বিবিসর খবরে বলা হয়েছে লিবিয়ার দেরনা শহরে বন্যায় ৫,৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। হিশাম চকিউয়াত নামে স্থানীয় এক মন্ত্রী বলেছেন, সাগর ক্রমাগত কয়েক ডজন মৃতদেহ ফিরিয়ে দিচ্ছে।
চিকিৎসক নাজিব তারহোনি দেরনার কাছে একটি হাসপাতালে কাজ করছেন। তিনি রেডিও ফোর এর ওয়ার্ল্ড এট ওয়ানকে বলেছেন, যারা নিখোঁজ তারা সম্ভবত ধ্বংসস্তূপের নিচে বা ডুবে গেছে... আমাদের লজিস্টিক সাহায্য দরকার। সেই সঙ্গে অনুসন্ধান কাজের কুকুর এবং মানবিক সাহায্য প্রয়োজন।
আপন দেশ/এমএমজেড
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।