ফাইল ছবি
আরব আমিরাতে বিক্ষোভকারী ৫৭ বাংলাদেশিকে সাজা দিয়েছে দেশটির আদালত। তারা কোটা বিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সেখানে বিক্ষোভ করেছিল।
শনিবার (২০ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দুবাই, শারজাহ ও আজমানের বিভিন্ন এলাকার সড়কে বিক্ষোভের সময় তাদের আটক করা হয়। সোমবার (২২ জুলাই) তাদের তিনজনকে যাবজ্জীবন, একজনকে ১১ বছর এবং বাকি ৫৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন স্থানীয় আদালত।
দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বিবিসি, আলজাজিরা, ভয়েস অব আমেরিকা, খালিজ টাইমস, আরব নিউজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নিজ দেশের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় বাংলাদেশিদের সাজা দিয়েছে আরব আমিরাত।
ঢাকার একটি টেলিভিশন চ্যানেল প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর বরাতে জানিয়েছে, বিক্ষোভ করায় বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করেছে আরব আমিরাত। যদিও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছুই জানায়নি।
আবুধাবিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর গনমাধ্যমে বলেছেন, ভিসা বন্ধ হয়নি। বাংলাদেশিরা ভিসা আবেদন করলে ‘রেড সিগন্যাল’দেখানো হচ্ছে।
রাজতন্ত্রের দেশ আরব আমিরাতে যে কোনো ধরনের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ নিষিদ্ধ। বিক্ষোভকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) থেকে দেশে ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও আমিরাতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাত ও প্রাণহানির ছবি এবং খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা সহিংসতার ছবি দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে খুঁজছে আমিরাতের পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক করে নোটিশও জারি হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্তরা আপিল করার সুযোগ পাবেন কিনা, তা গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত জানা যায়নি। ভিসা বন্ধের খবরের বিষয়ে জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বায়রা মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়েছে, ভিসা বন্ধের বিষয়ে আমিরাত থেকে কিছুই জানানো হয়নি। শুধু শুধু ভীতি ছড়ানো ঠিক হচ্ছে না।
আপন দেশ/এ্বি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।