ছবি: সংগৃহীত
২০ বছর আগে ভাগ্যবদলের আশায় স্বপ্নের শহর দুবাই আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার শিমরাইলকান্দি গ্রামের মন্টু চন্দ্র দাস। গত ৩ আগস্ট আবুধাবি বিগ টিকিটে ১ মিলিয়ন দিরহাম জিতে আলোচনায় আসেন এ প্রবাসী। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। যদিও এ অর্থ এখনো তার হাতে আসেনি।
তিনি জানান, লটারি জেতার অর্থ হাতে পেতে সময় লাগতে পারে আরও প্রায় চার সপ্তাহ। তবে এরমধ্যেই নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরেন মন্টু। বলেন, লটারি জিতলে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়।
রোববার (১১ আগষ্ট) দুবাইয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন লটারি বিজয়ী প্রবাসী মন্টু চন্দ্র দাস। জানান, ভাগ্যবদলের আশায় ২০০৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত পাড়ি জমান তিনি। জীবনের বিশটি বছর দুবাইতে কেটে গেছে তার।
শুরুতে একটি প্রতিষ্ঠানের অফিস ম্যাসেঞ্জার পদে কাজ করলেও বর্তমানে নিয়োজিত আছেন হিন্দুজা ব্রাদার্স গ্রুপ অব কোম্পানির এডমিনিস্টেশনে। আয়ের পুরো অর্থ ব্যয় করছেন পরিবারের জন্য।
করোনাকালে বাবা প্রমোদ চন্দ্র দাসকে হারান। বর্তমানে মা লক্ষ্মী রাণী দাস, স্ত্রী সুজাতা ঘোষ ও ৮ মাস বয়সের পুত্র সন্তান পুরুষোত্তম দাসকে নিয়ে তার সংসার। একই পরিবারে আছে তার চার বোন ও আরেক ভাই। ভাই-বোনরা বিবাহিত ও সকলেই তাদের পরিবারে প্রতিষ্ঠিত।
এ পরিবারে জন্যই লটারিতে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করতে চান মন্টু। সর্বশেষ মার্চ মাসে পরিবারের সঙ্গে অবকাশযাপনও করে দুবাই ফেরেন তিনি।
মন্টু বলেন, আবুধাবি বিগ টিকিটের লটারি জেতার খবর প্রচার হওয়ায় অনেকে খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেছেন। জানতে চাইছেন টাকার বিষয়। কোটি টাকা শুনে কারও কারও মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
এসব অতি প্রচার হলে পরিবারকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হবে। কেননা, টাকার অঙ্ক বড় মনে হলেও স্থানীয় পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ শতক জায়গা কিনতেই ৩ কোটি চলে যায়। বলতে গেলে এটি জায়গা কেনার মতো একটা অঙ্ক মাত্র। অনেক বড় কিছু না।
তবে লটারি জেতার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে মন্টু বলেন, প্রথমে আমার স্ত্রী (সুজাতা) বিশ্বাস করতে পারেনি। তাকে বিভিন্ন প্রমাণিক কাগজপত্র পাঠাই। মেইল আসার কথা বলি। পরে ইউটিউব দেখে বুঝতে পারে সে। সে বলছে, টাকা না পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বাস করবে না।
মন্টু আরও জানান, গত ৩ জুলাই আবুধাবি বিমানবন্দরে একজন সহকর্মীকে ছেড়ে দিতে গেলে সেখানে কর্মরত একজন ফিলিপাইন বিক্রয়কর্মীর অনুরোধে লটারি সংগ্রহ করেন তিনি। ৫’শ দিরহাম দামে দুটো লটারি কিনতে তার ১ হাজার দিরহাম খরচ হয়।
বিক্রয়কর্মী ক্রয়কৃত দুটো টিকিটের সঙ্গে তাকে বিনামূল্যে আরও তিনটি লটারির টিকিট প্রদান করে। ভাগ্যক্রমে বিনামূল্যে পাওয়া দ্বিতীয় লটারির টিকিটটি বাজিমাত করে। এতে মন্টু জিতে নেন ১ মিলিয়ন দিরহাম। গত ৩ আগস্ট বিগ টিকিট কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণা করে।
মন্টু চন্দ্র দাস আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের একজন সদস্য।
আপন দেশ/এইউ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।