ছবি : সংগৃহীত
দুবাইয়ে আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে আপনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় তার নাম, ছবি ও পরিচয় যুক্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি তিনি।
এদিকে দুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে তার খোঁজ মিলছে না। আর কোনো স্ট্যাটাসও দেননি তিনি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে ইন্টারপোল ওয়েবসাইটের রেড নোটিশের তালিকায় তার নাম পাওয়া গেছে।
এর আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছিলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
৩৫ বছর বয়সী রবিউলের জন্মস্থান বাংলাদেশের বাগেরহাটে। জাতীয়তা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি।
রবিউল ইসলামের নাম যুক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে ইন্টারপোলের তালিকায় ৬৩ জন বাংলাদেশি অপরাধী সংস্থাটির রেড নোটিশের আওতায় রয়েছে। যারা বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে।
এর আগে, ২০১৮ সালে বনানীতে বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ইন্টারপোলে পাঠায় বাংলাদেশ পুলিশের শাখা। পরবর্তীতে এ বিষয়টি ইন্টারপোল অবহিত হলে রেড নোটিশ জারি করে। তারই ধারাবাহিকতায় ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে যুক্ত হল রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভের নাম।
পুলিশ বলছে, আরাভ খানই মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এছাড়া তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, আরাভ খানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও তাদের কাছে কোনো সহায়তা চায়নি।
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বলেন, ‘আরাভের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি আমাদের কাছে কোনো সহায়তা চায় বা দূতাবাসের সহায়তা চায়, তাহলে অবশ্যই তথ্য দিয়ে সহায়তা করব। এ বিষয়ে দূতাবাস যোগাযোগ রাখছে’। আরাভ খানের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যত দূর জানি আরাভ খান এখন পর্যন্ত নজরদারিতে আছেন। তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।’
সেহেলি সাবরিন বলেন, আরাভের ভারতের পাসপোর্টের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখবে। ভারতের পাসপোর্ট বাতিল করে তাকে দেশে ফেরত আনা হবে কিনা, সেটি নিয়ে ওই মন্ত্রণালয় কাজ করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য চাওয়া হলে সহায়তা করা হবে।
দুবাইয়ে বাংলাদেশি কমিউনিটির একাধিক সদস্য জানান, দুবাইয়ে আরাভ তার বাসায় এক ধরনের নজরদারিতে রয়েছেন। কয়েক দিন ধরে তিনি বের হচ্ছেন না। বন্ধ রয়েছে তার ফোন। কারও সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই। তবে আরাভের স্বর্ণের দোকানের কর্মচারীরা সেখানে প্রচার চালাচ্ছেন, সংস্কার কাজের জন্য কিছু দিন দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। মাস খানেকের মধ্যে আবার দোকান চালু করা হবে।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সম্প্রতি আলোচনায় আসেন আরাভ। বিশ্বের এক নম্বর ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানসহ দেশীয় একঝাক তারকাদের নিয়ে দুবাইয়ে তার শোরুম উদ্বোধন করান।
আপন দেশ/আরএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।