ছবি: সংগৃহীত
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. মোশাররফ হোসেন (২৬) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার ভৃগুরামপাড়া স্কুলটিলা এলাকায়। নিহতের বাবার নাম আবু তৈয়ব।
শুক্রবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় রামগড় পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাজী আবুল বশর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার (২৮ জুন) স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে ওমানের সালালাহ বিমান বন্দর সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পরিবারের বরাত দিয়ে পৌর কাউন্সিলর জানান, যাত্রী আনার জন্য সালালাহ বিমান বন্দরে যাওয়ার পথে ওয়াটিনাইট নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার প্রাইভেট কারটি রাস্তার বাইরে গিয়ে স্ট্রীট লাইট পোস্টের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে তিনি মারা যান। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। ওই সময় বৃষ্টি হচ্ছিল।
পৌর কাউন্সিলর আরও বলেন, নিহত মোশাররফ ৭ বছর আগে ওমানে যান। সেখানে একটি কোম্পানিতে বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিউটি করার পর বাকি সময় নিজস্ব প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহন করতেন। ওমানে তার মেঝ ভাইও থাকেন।
তিনি বলেন, ২/৩ মাস পর সে দেশে এসে বিয়ে করার কথা ছিল। সে জন্য তার বাবা-মা পাত্রী দেখাসহ প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কৃষক বাবার কস্টার্জিত টাকায় প্রথমে মেঝ ছেলেকে ওমানে পাঠানোর পর ওই মেঝ ভাই পরে মোশাররফকেও ওই দেশে নিয়ে যায়। দুই ছেলের উপার্জনে দরিদ্র পরিবারটি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছিল।
শুক্রবার বিকালে নিহত মোশাররফের বাড়িতে গিয়ে শোকের মাতম দেখেছেন বলে জানান কাউন্সিলর আবুল বশর। তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন রাতে ছেলের মৃত্যুর খবরে তাদের ঈদ কেটেছে শোক-আর্তনাদে। এলাকার লোকজন সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তরুণ টগবগে ছেলে এমন মৃত্যুর শোক কিছুতেই সইতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা।
আবুল বশর জানান, নিহত মোশাররফের মরদেহ দেশে আনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ওমান দূতাবাসে আবেদন করা হয়েছে। ৬/৭ দিন পর দেশে পৌঁছবে মোশাররফের মরদেহ।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।