ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত গুমাই বিলে আমন কাটার উৎসব শুরু হয়েছে। বিলে ছয়টি ইউনিয়নের পঞ্চাশটিরও বেশি গ্রামের কৃষকের আবাদ করা আমন কাটা চলছে।
বাতাসে দোল খাওয়া পাকা ধানের গন্ধে বিমোহিত কৃষক। সোনালী আমনে ভরেছে মাঠ, হাসির বাঁধ ভেঙেছে কৃষকের ঘরে। তাদের চোখে, মুখে নেই ক্লান্তির ছাপ। ধানে ধান লেগে শিন শিন শব্দ মনকে করছে প্রাণবন্ত। পাকা ধানের শব্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধান কেটে চলেছেন কৃষক।- এমন দৃশ্য দেখা গেছে রাঙ্গুনিয়া গুমাইবিলে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, গুমাইবিলে তিন হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। বন্যায় ৬০০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রায় ১০ হেক্টর পাকা-আধাপাকা জমির ধান হেলে গেছে। হেক্টরপ্রতি পাঁচ দশমিক দুই থেকে পাঁচ দশমিক চার মেট্রিক টন ফলন পাওয়া গেছে। যেসব ধান পেকেছে, সেগুলো কাটা শুরু হয়েছে। ধান কাটতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। এই মেশিনে এক কানি জমির ধান কাটতে ব্যয় হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। আর শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন <> তিস্তার ‘ঘোলা পানি’ চরের কৃষকের আশির্বাদ
মোকাররম মিয়া নামের এক কৃষক বলেন, আট হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। ব্রি-ধান ৮৭ জাতের এক একর জমির ধান কাটা হয়েছে। হেক্টরপ্রতি পাঁচ দশমিক পাঁচ মেট্রিক টন ধান পাওয়া গেছে।
জামান নামের এক কৃষক বলেন, ধান কাটার জন্য শ্রমিকরা বেশি মজুরি চায়। প্রতি কানি (২০ গন্ডা) জমির ধান কাটতে দিতে হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ধান কাটার এ মৌসুমে নেত্রকোনা, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, রংপুর, সাতকানিয়া, বাঁশখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের শ্রমিকেরা এখানে আসেন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, গুমাইবিলে বন্যার কারণে কিছু আমন ধান পাকতে একটু দেরি হলেও বেশিরভাগ আমন পাকছে। বন্যার কারণে গুমাই বিলে কিছু অংশ বিপর্যয় হয়েছে। দ্বিতীয়বার আমন রোপণ করায় সেই আমন পাকতে সময় নিচ্ছে। রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভাতে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ বছর রাঙ্গুনিয়ায় ১৫ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
আপন দেশ/আরএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।