Apan Desh | আপন দেশ

ইটভাটা বন্ধে ১০০ দিনের আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ১৯ জানুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ২১:১৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২৪

ইটভাটা বন্ধে ১০০ দিনের আল্টিমেটাম

সাবের হোসেন চৌধুরী। ফাইল ছবি- সংগৃহীত

বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে থাকে রাজধানী ঢাকা। কালে-ভদ্রে নামে তালিকার চার-পাঁচে। ঢাকাকে বসবাসের অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। এর মূলে বায়ু, পানি, শব্দ দূষণ। নয়া সরকারের ১০০ দিনের কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে পরিবেশ দূষণকে। দূষিত বায়ুকে পরিশুদ্ধ করতে কঠোর হয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্বে রয়েছেন।

সাবের হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকার আশপাশে অবৈধ অনেক ইটভাটা আছে; যা পরিবেশ দূষণ করছে। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে এসব ইটভাটা বন্ধের চেষ্টা করা হবে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সবুজবাগে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর নিজ আসনে এটা আমার প্রথম অনুষ্ঠান। আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের যে চিন্তাটা সব থেকে বেশি কাজ করে তা হচ্ছে, আমরা মানুষের পাশে থাকতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের যে আদর্শ, এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সবসময় মানুষের পাশে থাকতে চাই।

আরও পড়ুন>> ‘নির্বাচন বানচালে অপশক্তিরা ব্যর্থ হয়েছে’

তিনি বলেন, আমাকে অনেকে মন্ত্রী হিসেবে ফুল দিয়েছেন। তবে একটা বিষয় আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমার মূল পরিচয় আমি ঢাকা-৯ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এ পরিচয় আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মন্ত্রী হিসেবে আমি সবার সহযোগিতা চাচ্ছি। আমরা নির্বাচন করি একটি দলের প্রার্থী হয়ে। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা কিন্তু সব জনগণের হয়ে কাজ করি।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করেছে এটা যেমন সঠিক, আবার এটাও ঠিক যে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সব জায়গায় পৌঁছে দিতে পারিনি। অর্থাৎ সমাজের এমন কিছু কিছু মানুষ থাকে যাদের জন্য আমাদের বিশেষ ভাবনা, চিন্তা এবং পরিকল্পনা থাকতে হবে। আর সেই বোধ থেকেই আজকের এ আয়োজন।

তিনি বলেন, পত্র-পত্রিকায় আমরা খোঁজ পাচ্ছি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে তখন শীত প্রচণ্ড পরিমাণে বাড়বে। এ সময় আমাদের সব থেকে বেশি যে কাজটি করা প্রয়োজন তা হচ্ছে, জনগণের পাশে থাকা। আজকের এ দিনটা কোনো আনন্দের দিন না। এটা এমন একটা দিন আমরা যে আপনাদের পাশে আছি সেটা পুনর্ব্যক্ত করার দিন।

আরও পড়ুন>> গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় এক ধাপ পেছাল বাংলাদেশ

তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে আনা বর্তমান সরকারের প্রধান অঙ্গীকার। প্রধানমন্ত্রী একটা বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। যা আমাদের আগামী এক দুই মাসের কর্মসূচির মধ্যেও আছে। আর সেটি হচ্ছে দ্রব্যের দাম আমরা যেন সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে পারি। এটা আমাদের একটা নির্বাচনী অঙ্গীকার। নির্বাচনের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের মেন্ডেট জানিয়েছেন। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে কাজ করে। আমাদের যেসব অঙ্গীকার ছিল, তা একে একে প্রতিটি অঙ্গীকার পূরণ করব।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়