Apan Desh | আপন দেশ

হাওড়ের পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:০৯, ১৮ মার্চ ২০২৪

হাওড়ের পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ

ছবি : সংগৃহীত

নেত্রকোনার হাওড়াঞ্চলের পতিত জমিতে দিন দিন বাড়ছে সবজির আবাদ। অধিক লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলে গত কয়েক বছরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মিষ্টি কুমড়ার চাষ। কৃষকরা আগ্রহী হওয়ায় কমতে শুরু করেছে পতিত জমির পরিমাণ। 

স্থানীয় প্রশাসন বলছে, শুধুমাত্র খালিয়াজুরীতে চার মাসে ১৫ কোটি টাকার ফলন হবে। যদিও কৃষকদের থেকে কম দরে নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা তারপরও বাম্পার ফলনে খুশি তারা। চাষাবাদ জোরদার করতে চেষ্টা চালিয়েছে কৃষি বিভাগসহ জেলা প্রশাসনও।

জানা গেছে, নেত্রকোনার বিস্তীর্ণ হাওড়াঞ্চলে বছরের ছয় মাসের অধিক পানিতে তলিয়ে থাকে। একমাত্র বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল এখানকার জনজীবন। কৃষি বিভাগের সহায়তায় এই অঞ্চলের পতিত জমি কাজে লাগিয়ে কৃষকরা গত তিন বছর ধরে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি করছেন মিষ্টি কুমড়ার চাষ।

প্রথম বছরে শুধু ধনু নদীর চরে এর চাষ হলেও এখন খালিয়াজুরী ছাড়িয়ে মদন মোহনগঞ্জের দিকে এগিয়েছে। ফলে কৃষকদের কর্মসংস্থানের পরিধি বাড়ছে। ফলন থেকে শুরু করে খাবার পর্যন্ত কয়েক ধাপে উপার্জনের মাধ্যম হয়েছে।

খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সেলিম মিয়া জানান, শুধুমাত্র খালিয়াজুরী উপজেলাতেই এবার ৬৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৭৫ মেট্রিকটন। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। যে উপজেলায় শুধু চাষাবাদের সঙ্গেই জড়িত ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ।

আরও পড়ুন <> ভুট্টার মণপ্রতি দাম বেড়েছে দেড় হাজার টাকা

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (খামারবাড়ি) উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, ‘পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে বিষমুক্ত ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ফলে মিষ্টি কুমড়ার চাষ তিনবছরেই ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।’

জেলায় সাত হাজার ৪৩৪ হেক্টর জমিতে শাক সবজির মাঝে ৭২০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। যার মধ্যে এ বছর তিন উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে এই মিষ্টি কুমড়া ফলেছে।

হাওড়ের চাষাবাদ ঘুরে দেখে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলনে অনুপ্রাণিত হয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ।তিনি বলেন, ‘কৃষি চাষটা এখানে জোরদার করলে কাজের মাধ্যমে এ এলাকার জীবন মান উন্নত হবে। মানুষ ফিরে আসবে কৃষিতে। আগামীতে বাকি জায়গাগুলো পরিপূর্ণ করতে আমরা কাজ করছি।’

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলায় মোট পতিত জমি রয়েছে আট হাজার ৮২৫ হেক্টর। এ বছর পর্যন্ত আবাদের আওতায় এসেছে দুই হাজার ৯৭১ হেক্টর।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়