Apan Desh | আপন দেশ

গরমে ঝরছে লিচুর গুটি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:০৮, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

গরমে ঝরছে লিচুর গুটি

ছবি : সংগৃহীত

দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বইছে। প্রাণ-প্রকৃতি ওষ্ঠাগত। এ গরমে ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। দিনাজপুরে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল। গত দুই সপ্তাহের মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি। ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন লিচু চাষিরা।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দিনাজপুরে লিচু চাষে জমির পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার ৪৮৯ হেক্টর। জেলায় লিচু বাগানের সংখ্যা চার হাজারের বেশি। প্রায় ১৩ উপজেলায় লিচু চাষ হলেও সদর ও বিরল উপজেলার লিচুর চাহিদা বেশি। সবচেয়ে বেশি লিচু আবাদও হয় বিরল উপজেলায়। শুধুমাত্র বিরল উপজেলাতেই আড়াই হেক্টরের বেশি জমিতে লিচুর আবাদ করা হয়। বিরলে ছোট-বড় মিলিয়ে বাগানের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। 

চলতি বছরে দিনাজপুরে মৌসুমের শুরুতে চমৎকার ও উপযোগী আবহাওয়া থাকায় লিচু বাগানগুলোতে এবার ব্যাপক মুকুলের সমারোহ ঘটে। চৈত্র মাসের শেষদিকে গাছগুলোতে গুটি আসতে শুরু করে। কিন্তু বৈশাখের শুরু থেকে অব্যাহত দাবদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে পুড়ে যাচ্ছে গাছের মুকুল, ঝরে পড়ছে নতুন গুটি, শুকিয়ে যাচ্ছে গুটির বোটা। এতে করে প্রথম অবস্থায় গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ দেখে বেশ আশান্বিত হলেও এখন লিচুর ফলন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দিনাজপুরের চাষিরা। 

আরও পড়ুন <> ঝড়-বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস আবহাওয়া অফিসের

কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, তারা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। আবহাওয়া বিবেচনায় কোনো অবস্থাতেই দিনের বেলায় তাপমাত্রা বেশি থাকা অবস্থায় গাছে পানি দেয়া বা স্প্রে করা যাবে না। সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে গেলে গাছে স্প্রে করে পানি ছিটাতে হবে, কীটনাশক দিতে হবে। সেই সঙ্গে গাছে কিছু অনুখাদ্য দিলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

সদর উপজেলার মাসিমপুর গ্রামের লিচুচাষি মোসাদ্দেক হোসেন জানান, তার বেশ কয়েকটি বাগানে ছোটবড় মিলিয়ে শতাধিক লিচুর গাছ রয়েছে। প্রথম অবস্থায় আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রায় প্রতিটি গাছেই ব্যাপক মুকুল আসায় এবার লিচু নিয়ে তিনি বেশ আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু গুটি আসা শুরু হওয়ার পর দাবদাহ আর গরমের কারণে পুড়ে গেছে গাছের অনেক মুকুল এবং এখন ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি। 

বিরল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাসান ইমাম বলেন, লিচুগাছে এবার প্রচুর মুকুল আসার পরও বৈরী আবহাওয়ার কারণে গুটি ঝরে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ফলন অর্ধেকে নেমে যেতে পারে। 

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কয়েকদিন থেকে দিনাজপুরে মৃদু ও মাঝারি দাবদাহ বিরাজ করছে। শিগগির এ থেকে উত্তরণের কোনো সম্ভাবনা নেই।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়