ছবি : সংগৃহীত
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা কৃষ্ণচূড়া গাছের ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে সেজেছে। এলাকার বিভিন্ন জনপথ ও বসতবাড়ির আঙিনায় ছড়িয়ে পড়েছে রক্তরাঙা কৃষ্ণচূড়ার জৌলুস। থোকায় থোকায় ফুল ফুটেছে গাছে।
সবুজের বুকে একখণ্ড লালের রাজত্ব। দূর থেকে দেখে মনে হয় ময়ূর প্রকৃতির মাঝে রাঙা পেখম মেলে ধরেছে। আর এসব কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ফুলপ্রিয় পথিক। কেউ তুলছেন ছবি কেউবা সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের পুরাতন ভবনের উপরে ও সম্মুখে, সরকারি ডিগ্রি কলেজের সম্মুখভাগে, পৌরসভার প্রবেশ পথ, চৌরাস্তার ধারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সৌরভ ও সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এ ফুল। এ গাছ চমৎকার পাতা পল্লব আর আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া-ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল-কমলা-হলুদ ফুল ও উজ্জ্বল সবুজ পাতা একে অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।
আরও পড়ুন <> ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি সেজেছে শিরীষ ফুলে
কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এটি সিসালপিনিয়েসি গোত্রের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ। কৃষ্ণচূড়া লাল, হলুদ ও সাদা রঙেরও হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে লাল ও হলুদ রঙের ফুল দেখা গেলেও সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়া দেখাই যায় না।
মাটিরাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আসমাউল হুসনা বলেন, কলেজে যেতেই চোখে পড়ে কৃষ্ণচূড়া গাছটি। বিশ্রামের ছলে খানিকটা সময় দাঁড়িয়ে তার সৌন্দর্য অনুভব করি। লাল সবুজের মিলনে রক্তিম আভা ছড়ানো কৃষ্ণচূড়া ফুল যেন নিজেদের জীবনে ছড়িয়ে দেয় মুগ্ধতা।
উপজেলায় সেবা নিতে আসা রহিমা বেগম বলেন, এক সময় এরকম গাছ বহুত আছিল, মাইনসে সব গাছ কাইট্টা ফালাইছে এখন আর আগের মতো কৃষ্ণচূড়া গাছ দেহা যায় না।
মাটিরাঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান লস্কর জানান, কৃষ্ণচূড়া মূলত তিন জাতের হয়। বেশির ভাগ লোক এর নাম কৃষ্ণচূড়া হিসেবে জানলেও এর অপর নাম গুলমোহন। কৃষ্ণচূড়া ফুল থোকায় থোকায় গাছের ডালে পর্যায়ক্রমে ফুঁটতে থাকে। সৌন্দর্য বর্ধনে পরিবেশবান্ধব কৃষ্ণচূড়া গাছের পাশাপাশি অন্যান্য গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।
আপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।