ছবি : সংগৃহীত
তিল চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখছেন কুমিল্লার চাষিরা। জেলাতে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তিল চাষ। স্থানীয় কৃষকরা স্বপ্ন দেখছেন।
অন্যান্য ফসলের মতো তিল চাষে তেমন ঝামেলা নেই। কৃষি বিভাগের পরামর্শে পতিত জমিতে তিল চাষ করে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন ও দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।
স্থানীয় বাজারসহ সারাদেশে রয়েছে এ তিলের ব্যাপক চাহিদা। এতে ভোজ্য তেলের ঘাটতি ও চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর জেলার বরুড়া, চান্দিনা, দাউদকান্দিতে তিল চাষ করা হয়েছে। যা এরই মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। বারি তিল-২, বারি তিল-৪ এবং বিনা তিল-৩ চাষ করে সফল হচ্ছেন এ অঞ্চলের চাষিরা। এ তিল কালো এবং গাছে তিন-চারটি প্রধান শাখা হয়। অনেকগুলো উপশাখা হয় বলে ফলনও বেশি হয়।
আরও পড়ুন <> কৃষ্ণচূড়ার রক্তরাঙায় সেজেছে পাহাড়
দাউদকান্দির দৌলতপুর গ্রামের তিল চাষি মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, তিল অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল। এবার ১৫ জমিতে তিল চাষ করছি। এতে খরচ হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। তিল হবে চার মণ। ছয় হাজার টাকা দরে বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকার তিল বিক্রি করা যাবে। খরচ বাদ দিলেও অন্তত ১৫ হাজার টাকা লাভ হওয়ার কথা।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ জানান, তিলের তেলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এ তেল ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
তিনি বলেন, আমরা তিল চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শের পাশাপাশি বিনামূল্যে তিল বীজ বিতরণ করেছি। তিল চাষে খরচ অনেক কম, আগাছা পরিষ্কার করা ও পানি সেচের তেমন প্রয়োজন হয় না। বাজারে তিলের চাহিদা থাকায় দিন দিন তিল চাষের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা। আশা করছি আগামীতে তিল চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।
আপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।