Apan Desh | আপন দেশ

ঝালকাঠির পেয়ারা চাষিদের স্বপ্ন খরায় পুড়ছে

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ২০ মে ২০২৪

ঝালকাঠির পেয়ারা চাষিদের স্বপ্ন খরায় পুড়ছে

ছবি : সংগৃহীত

সারাদেশে কম বেশি বৃষ্টি হলেও খরার কবলে ঝালকাঠি। টানা তাপপ্রবাহে পুড়ছে পেয়ারার ফুল-কুড়ি। এতে পুড়ছে কৃষকের স্বপ্নও। ঋণ করে বাগানে পুঁজি খাটালেও চরম ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিশেহারা কৃষকরা।

দেশি জাতের পেয়ারা চাষে ঝালকাঠির খ্যাতি দেশজুড়ে। অগণিত কৃষক পরিবারের প্রধান আয়ের মাধ্যমও পেয়ারা চাষ। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি গাছে গাছে ফুল-কুড়িতে ছেয়ে গেলেও লাগাতার তীব্র খরায় তা ঝড়ে পড়ছে। বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে থোকায় থোকায় ফুল-কুড়ি। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, রোদে শুকিয়ে পেয়ারার আকার যেমন ছোট হয়েছে, তেমনি পড়েছে কালো কালো ছিট পড়া রোগ। তার ওপর লবণ পানির নতুন আগ্রাসনে পেয়ারার স্বাদও কমে যাচ্ছে। কিন্তু মৌসুমের শুরুতে পেয়ারা চাষে মাটি দেয়া সহ পরিচর্যায় কৃষক যে পুঁজি খাটিয়েছেন তা কোনোভাবেই এবার উঠবে না বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ছাড়া যারা ঋণ করে পুঁজি সংগ্রহ করেছেন তাদের যেন মরার উপর খড়ার ঘা। এপ্রিলের শুরু থেকেই অনাবৃষ্টির সঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহে অন্যান্য মৌসুমি ফল এবং শাক-সবজিরও একই অবস্থা। 

ঝালকাঠি সদরের ভীমরুলি গ্রামের কৃষক মনতোষ হালদার বলেন, এমন রোদ এর আগে কখনো দেখিনি। জমির মাটিও ফেঁটে চৌচির। গত দুই-তিন বছর ধরেই তাপমাত্রা বাড়লেও এবছরের মতো আর অবস্থা আগে কখনো হয়নি। ফলে পেয়ারার ফুল-কুড়ি সব ঝড়ে পড়ে যাচ্ছে। এলাকার অসংখ্য কৃষক এখন দিশেহারা। 

আরও পড়ুন <> ইমরুলের আপেল বাগান নজর কেড়েছে

শতদশকাঠী গ্রামের জগদীশ ঢালি বলেন, ঋণ করে শ্রমিক খাটিয়ে জমিতে মাটি দিয়েছি। ভেবেছিলাম মৌসুমে পেয়ারার আয় দিয়ে ঋণ শোধের পর যা থাকবে তা দিয়ে সংসারের অভাব দূর হবে। কিন্তু এবার সেগুড়ে বালি। 

পোষন্ডা গ্রামের কৃষক রহমত আলী বলেন, পেয়ারা আকারে ছোট হয়েছে। পাশাপাশি পেয়ারায় ছিট ছিট দাগ পড়েছে। লবণ পানি আর অনাবৃষ্টিতে এ বছর এলাকার পেয়ারা চাষিরা চরম লোকসানে পড়বে।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবেই এমন অনাবৃষ্টি এবং তীব্র তাপপ্রবাহ। তবে এ অবস্থায় গাছের গোড়ায় বেশি করে সেচ দিতে হবে। 

প্রসঙ্গত, কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যমতে ঝালকাঠি জেলায় এ বছর ৫৬২ হেক্টরে জমিতে পেয়ারার ফলন হয়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে এই ফল সংগ্রহ চলবে।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়