Apan Desh | আপন দেশ

পাচারকালে ময়না উদ্ধার

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:০৫, ২৮ জুন ২০২৪

পাচারকালে ময়না উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে বিপন্ন প্রজাতির ছয়টি পাহাড়ি ময়না উদ্ধার করা হয়েছে। পাখিগুলো পাচার হচ্ছিল বলে দাবি জানিয়েছে বনবিভাগ।পাখিগুলো ঢাকায় নিয়ে ‘চড়া দামে’ বিক্রি করা হতো।

শুক্রবার (২৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে জেলা বাস স্টেশন এলাকা থেকে পাখিগুলো উদ্ধারের খবর জানান খাগড়াছড়ির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা।

তিনি বলেন, একটি চক্র বিপন্ন প্রজাতির হিল বা পাহাড়ি ময়না খাগড়াছড়ি থেকে ফেনীতে পাচার করছিল। অভিযান চালিয়ে আমরা ফেনীমুখী একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে বাচ্চাসহ ছয়টি পাহাড়ি ময়না উদ্ধার করি। এ সময় পাচারকারিরা পালিয়ে যায়।

পাখিগুলো ঢাকায় নিয়ে ‘চড়া দামে’ বিক্রি করার উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে জানান ফরিদ মিঞা।

তিনি বলেন, পাহাড়ি ময়নার বৈজ্ঞানিক নাম (Gracula religiosa)। ময়নার গায়ের পালক উজ্জ্বল কালো। রোদের আলোয় কালো রং চকচক করে। তার ওপর কিছুটা সবুজ ও বেগুনি রঙের আভা। ময়নার মাথার পেছনের হলুদ আবরণে ঢাকা ত্বক। পাখিটির ঠোঁট বাসন্তি রঙের। ডানার বড় পালকের আড়ালে কয়েকটি সাদা পট্টি থাকে। ময়নার পা ধবধবে হলুদ। এরা সাধারণত বৃক্ষের উঁচু উঁচু ডালে থাকতে পছন্দ করে। লম্বায় দশ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়।

২০১২ সালের বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী-পাহাড়ি ময়না ধরা বা বিক্রি করা নিষিদ্ধ বলে জানান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, পাহাড়ি ময়নাসহ যে কোনো বন্যপ্রাণী পাচার রোধে খাগড়াছড়ি বন বিভাগ কাজ করছে। গত চার বছরে বিপন্ন প্রায় লজ্জাবতী বানর, গয়াল, বন বিড়াল, মায়া হরিণ ও তক্ষকসহ ৩১টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও অবমুক্ত করেছে তারা।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়