ছবি: সংগৃহীত
দেশজুড়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাত ব্রাহমা। ‘নিষিদ্ধ’ বলে জনশ্রুতি থাকলে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সাফ জানিয়েছে, ব্রাহমা গরু বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয়। এমন দাবি করেছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ ইমরান। তার দাবি, ব্রাহমা দেশে নিষিদ্ধ বা আনা যাবে না- সরকারের কোনো নীতিমালায় এমনটা বলা নেই।
শনিবার (২৯ জুন) দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি আদেশ ৩৪ এর ‘ক’ ধারায় ব্রাহমার হিমায়িত সীমেন ও এমব্রায়ো আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বেসরকারি পর্যায়ে গবাদিপশুর প্রজনন কার্যক্রম পরিচালনার সংশোধিত নীতিমালাতে সীমেন আমদানি ও ব্যবহারে শর্ত দেয়া আছে। তবে কোথাও উল্লেখ নেই ব্রাহমা নিষিদ্ধের কথা। ২০০৭ সালের জাতীয় প্রাণিসম্পদ নীতিমালাতেও বৈধতা আছে ব্রাহমার।
২০১৮ সালে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বিফ ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের মূল্যায়নে ব্রাহমার লালন-পালনকে উৎসাহিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। ওই প্রকল্প পরিচালক ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সাবেক পরিচালক এসএমএ সামাদ জানান, ব্রাহমা বাংলাদেশ নিষিদ্ধ- এমন তথ্য নেই তার কাছে। গত পাঁচ-ছয় বছরে নতুন কোনো আইন হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আগের আইনে এটা নিষিদ্ধ না।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকও একই কথা জানান। তবে নিষিদ্ধ না হলে এ জাত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার কারণ হিসেবে বলেন, ‘আমাদের প্রাধান্য দেশি জাত, হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান। আমাদের এসব গরু থাকতে অন্য দেশের গরুর দরকার নেই।’
২০২১ সালে ঢাকার বিমানবন্দরে ব্রাহমা ঘিরে আলোচনা-সমালোচনার শুরু হয়। সে সময় সাদিক অ্যাগ্রোর আমদানি করা ১৮টি গরু জব্দ করা হয়।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।