ছবি: সংগৃহীত
উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুরসহ কয়েকটি জেলায় টানা তিন দিনের ভারি বর্ষণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। দিনাজপুরে সর্বোচ্চ ১৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে দিনাজপুরসহ রংপুরের নদীগুলোর পানি বেড়ে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।
রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা নদীর পানি বেড়ে তীরবর্তী চরাঞ্চলের বাসিন্দারা আতঙ্কিত। কৃষকেরা আমন ধান নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় আছেন। এছাড়া দিনাজপুরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। হাঁটুপানি জমে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দুই দিন উত্তরাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে রংপুরসহ তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রংপুরের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকালে কাউনিয়া রেলসেতু পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে ব্যারাজের ৪৪ জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে।
আপন দেশ/অর্পিতা
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।