Apan Desh | আপন দেশ

আঙ্গুর চাষে সফল ভালুকার তরুণ উদ্যোক্তা সুমন 

সাজ্জাদুল আলম খান, ভালুকা (ময়মনসিংহ)

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ২১ এপ্রিল ২০২৫

আঙ্গুর চাষে সফল ভালুকার তরুণ উদ্যোক্তা সুমন 

ছবি: আপন দেশ

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের কৈয়াদী গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা সুমন আহমেদ। স্থানীয় কৃষিতে সৃষ্টি করেছেন নতুন সম্ভাবনা। অনার্স তৃতীয় বর্ষের এ শিক্ষার্থী প্রায় ৭ শতক জমিতে ১৩ জাতের উন্নতমানের আঙ্গুর চাষ করে পেয়েছেন সাফলতা। যা স্থানীয় কৃষিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারে।

সুমন আহমেদ শুধু একজন শিক্ষার্থীই নন, একজন স্বপ্নবাজ তরুণও। যিনি কৃষিকে বেছে নিয়েছেন নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার হাতিয়ার হিসেবে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন উন্নতজাতের আঙ্গুর সংগ্রহ করে নিজ এলাকায় চাষাবাদ শুরু করেন সুমন। তার বাগানে চাষকৃত আঙ্গুরের জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাইকুনর, একেলো, ভেলেজ, গ্রিন লং, আমেরিকান রিলায়েন্স, অস্ট্রেলিয়ান কিং, মাসকাট হুয়াইট, মার্সেল ফোর্স, থার্টি ওয়ান এবং জয় সিডলেজ।

গত বছরের তুলনায় এ বছর সুমনের আঙ্গুর চাষে উল্লেখযোগ্য ফলন হয়েছে। তিনি আশা করছেন, আগামীতেও ফলনের পরিমাণ আরও বাড়বে। সুমন বলেন, দেশজুড়ে যদি এভাবে উন্নতজাতের আঙ্গুরের চাষ বিস্তৃত করা যায়। তাহলে ভবিষ্যতে বিদেশ থেকে আঙ্গুর আমদানি করা নাও লাগতে পারে।

সুমনের এ সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন কৈয়াদী ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। তিনি সবসময় কৃষকদের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছেন।

আরওপড়ুন<<>>মানব প্রতিভা: পাতা দিয়ে তৈরি পাখিতে নেই শুধু প্রাণ

ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জামান বলেন, সুমন পরীক্ষামূলকভাবে তার বাড়ির আঙিনায় আঙ্গুর চাষ করেছে। সবদিক বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে, ভালুকার মাটি ও আবহাওয়া আঙ্গুর চাষের জন্য উপযুক্ত।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশের মাটি আঙ্গুরের জন্য উপযুক্ত। পরিমিত মাত্রায় সার ও যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে একটি আঙ্গুর গাছ বছরের পর বছর ধরে ফলন দিতে পারে। বাংলাদেশে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আঙ্গুর গাছ ছাটাই করলে মার্চ-এপ্রিলে ফল পাওয়া যায়। আঙ্গুর পাকার সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে পলিথিন জাতীয় কাগজ দিয়ে গাছ ঢেকে দিতে হয়। কারণ বৃষ্টির পানি লাগলে আঙ্গুর ফেটে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

সুমন তার বাগানকে আরও সম্প্রসারিত করতে চান এবং আধুনিক পদ্ধতিতে আঙ্গুর চাষের প্রসার ঘটাতে চান। তার লক্ষ্য, স্থানীয় বাজারে উচ্চমানের আঙ্গুর সরবরাহ করে বিদেশি ফল আমদানির পরিমাণ কমানো। এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও এখন সুমনের সাফল্যে উৎসাহিত হচ্ছেন এবং আঙ্গুর চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

আপন দেশ/এমএইচ
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়