ছবি : আপন দেশ
সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ নিয়ে গবেষণা আরও জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ওপ্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার (৩০ মে) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বোর্ড অব গভর্ণরস-এর ৪২তম সভায় মৎস্যবিজ্ঞানী ও গবেষকদের মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। মন্ত্রীরসভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে সমুদ্র বিজয়ের ফলে সুনীল অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা পরিচালনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট সমুদ্রের প্রচলিত ও অপ্রচলিত মৎস্যসম্পদনিয়ে গবেষণা পরিচালনা করছে। এর পরিধি আরও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার জন্য বর্তমান সরকার কক্সবাজারে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামুদ্রিক মৎস্য প্রযুক্তি কেন্দ্রে আধুনিক যন্ত্রপাতিও সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত গবেষণাগার স্থাপন করেছে। গবেষণাগারে সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি অপ্রচলিত মৎস্য সম্পদ তথাওয়েস্টার, কাঁকড়া, গ্রীন মাসেলস ও সীউইড নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। এসব গবেষণা ফলাফল মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশের অর্থনীতিতে সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সুন্দরবন সামুদ্রিক মাছেরপ্রজনন ও নার্সারী ক্ষেত্র হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার মাছের বৈচিত্র্য সুরক্ষা, মজুদ ও আহরণ মাত্রা নিরূপণে মৎস্যগবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালিত গবেষণা আরও জোরদার করতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে সুন্দরবনের মাছের জীববৈচিত্র্যসংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কৌশল উদ্ভাবন করতে হবে।
গলদা চিংড়ির মানসম্মত পোনা উৎপাদনে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা অত্যন্ত সময়োপযোগী উল্লেখ করে চিংড়ি ওদেশীয় প্রজাতির মাছ সুরক্ষায় এই ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের অব্যাহত ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বিএফআরআই-এর বোর্ড অব গভর্ণরস-এর ভাইস চেয়ারম্যান ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বোর্ড সদস্য ও পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ কে এম ফজলুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর ও মোহাম্মদহাবিবুর রহমান, বোর্ড সদস্য সচিব ও বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বোর্ড সদস্য ও মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুলআউয়াল, বোর্ড সদস্য আফজালুর রহমান বাবু, বোর্ড সদস্য ও মৎস্য ও মৎস্য পণ্য রফতানিকারক সৈয়দ আবু আফসার এবংবিএফআরআই-এর পরিচালক (গবেষণা ও পরিকল্পনা) ড. মো. জুলফিকার আলী সভায় অংশগ্রহণ করেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।