ছবি : আপন দেশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে প্রথমবারের মতো ‘গ্যাং কার’ বা ‘ট্র্যাক কার’ চালানো হয়েছে। ‘গ্যাং কার’ নামে পরিচিত ‘ট্র্যাক কার’ বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত রেলের ইঞ্জিন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে গিয়ে দেখা যায় আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন ইয়ার্ডে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে এ ‘ট্র্যাক কার’ চালানো হচ্ছে। আগামী ২২ আগস্ট এ রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের কথা রয়েছে।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী রিপন শেখ বলেন, পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে বুধবার সন্ধ্যা থেকে ট্র্যাক কার চালানো হচ্ছে। পুরো রেলপথ সম্পূর্ণ প্রস্তুত না হওয়ায় গঙ্গাসাগর ইয়ার্ডেই চালানো হচ্ছে। যেটুকু কাজ বাকি, তা ২২ আগস্টের আগে শেষ হয়ে যাবে। আগামী ২২ আগস্ট আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালাবো।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় ট্রেন দূর্ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের রেলওয়ের সঙ্গে এ রেলপথ সংযুক্ত হবে। এতে দুই দেশের বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধি পাবে। রেলপথ চালু হলে আগরতলা থেকে কলকাতা হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটারের দূরত্ব কমে ৩৫০ কিলোমিটার হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসগর থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে পড়েছে সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ। প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশ বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা। আগামী সেপ্টেম্বরে দুইদেশের প্রধানমন্ত্রী এই রেলপথ উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
আপন দেশ/প্রতিনিধি/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।