ছবি : আপন দেশ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় স্বামীর সহায়তায় স্ত্রীকে (২৫) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) নির্যাতিতা স্ত্রী বাদি হয়ে সুধারাম থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে, রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ২নং দাদপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার মো. মাসুদ (২৬) উপজেলার বারাহীপুর গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে। মামলার অপর আসামি নির্যাতিতা স্ত্রীর স্বামী একই গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে মো. হেলাল (২৬)।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারাহীপুর গ্রামের সিএনজি চালক হেলাল ১০ বছর আগে পারিবারিক ভাবে ভিকটিমকে বিয়ে করে। তাদের সংসারে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক। গত রোববার রাতে সে বাড়ি ফিরে আসেন। তখন স্বামী-স্ত্রী তাদের ঘরের সামনের কক্ষের মাটিতে বিছানা পেতে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন সময় তার স্বামী তাকে জানান তার পক্ষে আর একা সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছেনা। একজন লোক আসবে তার সঙ্গে তোমাকে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে। এমন কথা শুনে স্বামীর সঙ্গে তার স্ত্রীর বাকবিতন্ডা শুরু হয়। স্বামীর প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সে তাকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে আমার স্বামী আমাকে উলঙ্গ করে ওড়না নিয়ে হাত পা বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে আমার স্বামী বসত ঘরের দরজা খুলে দিলে ধর্ষক মাসুদ ঘরে প্রবেশ করে। ওই সময় আমার স্বামী আমার হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে দুই হাত ও মুখ শক্ত করে ধরে মাসুদকে বলে আমার সঙ্গে যা ইচ্ছা তা করতে। একপর্যায়ে আমার স্বামীর সহায়তায় আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাসুদ আমাকে ধর্ষণ করে। সকাল বেলা আমি বিষয়টি পরিবারকে জানাই।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে হাসপাতালে রোগী হত্যার অভিযোগ
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ মামলার প্রধান আসামিকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে। পরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আপন দেশ/প্রতিনিধি/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
