নিশাত তাসনিম উর্মি
মেহেরপুর থেকে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলার গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিক্ষার্থীর নাম নিশাত তাসনিম উর্মি (২৪)। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন উর্মির বাবা। আর স্বামীর পরিবার বলছে জানালার সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিশাত তাসনিম উর্মি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি গাংনীর পদ্মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাসেম শাহর ছেলে আসিকুজ্জামান প্রিন্সের স্ত্রী এবং গাংনী উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
উর্মির বাবা গোলাম কিবরিয়া বলেন, গভীর রাতে বেয়াই মোবাইল ফোনে জানায়, উর্মি অসুস্থ হওয়ায় তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে বলেন, উর্মি নাকি ঘরের জানালার সঙ্গে ফাঁস দিয়েছে। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানতে পারি, উর্মি অনেক আগেই মারা গেছে। উর্মির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ লাশ থানা হেফাজতে নেয়।
বিষয়টি নিরশ্চিত করেছেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। মরদেহ মেহেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপন দেশ ডটকম/ প্রতিনিধি/ আবা
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।