Apan Desh | আপন দেশ

১৫ বছর পর হারানো কন্যার খোঁজ পেলেন বাবা-মা 

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:১১, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২৩:৪৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

১৫ বছর পর হারানো কন্যার খোঁজ পেলেন বাবা-মা 

ছবি: সংগৃহীত

জামালপুর: জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার কাগমারীপাড়া গ্রামের আবুল হাসেমের পরিবার দীর্ঘ ১৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া কন্যা টুক্কুনির সন্ধ্যান পেয়েছে। বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ১৫ বছর আগে বকশীগঞ্জ উপজেলার কাগমারিপাড়া গ্রামের আবুল হাসেম ও সইরেফুলি বেগমের কন্যা টুক্কুনি ওরুফে মমতাজ।ঢাকায় বুয়া হিসেবে কাজ করতে একই গ্রামের শাবুল মিয়া পাশ্ববর্তী পাখিমারা গ্রামের নেহার বেগমের কাছে দেয়। নেহার বেগম তার মেয়ের বাসার কাজের মেয়ে হিসেবে টুক্কুনিকে ঢাকায় পাঠায়।

ঢাকায় নেহার বেগমের মেয়ের বাসা থেকে ১৫ বছর আগে হারিয়ে যায় টুক্কুনি। এর পর অনেক খোজাঁ খুজিঁ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ১৫ বছর পর তার সন্ধ্যান পাওয়ার পর বিষয়টি ১২ সেপ্টেম্বর রাতে জামালপুর সদর উপজেলার বাইটকেমারী গ্রামের আবু তালেবের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে শাকিল আহমেদ বকশীগঞ্জ থানায় অবহিত করেন। অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানাস্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি অবগত করেন।

বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সোসাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলে টুক্কুনির পরিচয় পাওয়া যায়। টুক্কুনির বিষয়ে সোসাল মিডিয়ায় প্রচারিত বর্ণনানুযায়ি টুক্কুনর বাবার নাম আবুল হাসেমন(০১৯৭২৮৮১০৩১) ও মায়ের নাম সইরেফুলিসহ সবকিছু হুবহুব মিলে যায়। টুক্কুনি ওরুফে মমতাজ বর্তমানে লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের বাড়ীতে আছে। টুক্কুনির বিয়ে হয়েছে মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়ার সঙ্গে। 

টুক্কুনির জা সুমি আক্তার জানান, টুক্কুনি এখন ৩ সন্তানের জননী। ২ ছেলে ও ১ কন্যার মা। অপর দিকে মেয়ের সন্ধ্যান পাওয়ার পর তার বকশীগঞ্জ উপজেলার কাগমারিপাড়া গ্রামে আনন্দের বন্যা বইছে। টুক্কুনির বাবা আবুল হাসেম ও মা সইরেফুলি লক্ষীপুরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাবা মা যাওয়ার পরেই ১৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া কন্যা সঙ্গে দেখা হবে। ঠিকানা বিহীন টুক্কুনি ফিরে পাবে তার মা বাবাকে।

এ ব্যাপারে টুক্কনির স্বামী পরিবারের দায়িত্বশীল সদস্য সুমি আক্তার জানান, টুক্কুনির পিতৃ পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করলে এবং তথ্য সঠিক হলে অবশ্যই দুই পরিবারের মধ্যে সর্ম্পক গভীর হবে। ঠিকানা বিহীন মেয়েটি তার ঠিকানা খোজেঁ পাক তা আমরা অবশ্যই চাই।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, টুক্কুনির ঠিকানা খোজেঁ পাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা আমাকে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। স্বামীর পরিবার ও পিতৃপরিবারের মিলন মেলায় কোনো সমস্যা হলে পুলিশ অবশ্যই দুই পরিবারকে সহায়তা করবে। দুইপরিবারের পাশে থাকবে।

আপন দেশ/প্রতিনিধি/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়