উগ্রবাদ প্রতিরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জনসচেতনতামূলক কর্মশালা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: উগ্রবাদে জড়িতদের মধ্যে পড়ালেখা জানেন না এমন লোকের সংখ্যা শতকরা মাত্র একভাগ। আর জড়িতদের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার শিক্ষার্থী ৭৪ ভাগ ও মাদরাসা ২৩ ভাগ। জড়িতদের মধ্যে ১৫ থেকে ৩৪ বছরে লোক হলেন শতকরা ৬৮ ভাগ।
উগ্রবাদ প্রতিরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের সহায়তায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
এ সময় জানানো হয়, সারাদেশেই এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হবে। ইতোমধ্যেই বরগুনায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে একত্রিত করে উগ্রবাদ প্রতিরোধে কাজ করানোর লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী জনসচেতনতামূলক এ কর্মশালা শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (১৯ সে্েপটম্বর)। এরই অংশ হিসেবে আজ বুধবার সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন। বুধবারের কর্মশালায়ও তিনি সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এস এম শফিকুল্লাহ, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
বাগত বক্তব্য দেন ও কর্মশালার বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মো. জাহিদুল ইসলাম সোহাগ।
কর্মশালায় জানানো হয়, সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে জঙ্গিবাদ মাথা নুইয়েছে। তবে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ এখনো আছে। উগ্রবাদ দমনে পুলিশের বিশেষ টিম সোয়াট কাজ করছে। সোয়াটের টিমকে তথ্য দেয়াসহ নানাভাবে সহায়তা করতে উপস্থিত সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আপন দেশ/এমএমজেড
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।