আ ক ম মোজাম্মেল হক
দিনাজপুর: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশকে অকার্যকর, ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়াও তারেক রহমান। জিয়ার প্রত্যক্ষ মদদে পঁচাত্তরের পর দেশে নির্বিচারে হত্যাকারীদের বিচারে আলাদা কমিশন গঠন করা হবে। এরপর খুনীদের মরণোত্তর বিচার করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। তবেই জাতি দায়মুক্ত হবে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর কারও মানবতা দেখিনি। অথচ তখন দায়মুক্তির আইন করে খুনিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যা করে তার বিচার চাওয়া যাবে না- এমন আইন করে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে গুমের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। তারা সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের বিনাবিচারে হত্যা করেছিল। জুনে ফাঁসি দেয়া হয়েছে, অথচ রায় হয়েছে ডিসেম্বরে- এমন ঘটনাও ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মায়ের কান্না’র অভিযোগের দালিলিক প্রমাণ রয়েছে। কমিশন গঠন করে খুনি জিয়ার মরন্নোত্তর, খুনী খালেদা ও তারেক রহমানের বিচারের প্রক্রিয়া চলছে। আইনমন্ত্রী সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান, তার পথ ধারে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দেশে খুন, অগ্নি সন্ত্রাস, অরাজকতা সৃষ্টি চালিয়ে দেশকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়ার কবর অন্যত্র সরানোর দাবি জানিয়ে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ এজাহার খান এমপি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস হত্যা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যার দায়ে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি, গণ ফাঁসি ৭৭ এর প্রামান্যচিত্র নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়াও ভুক্তভোগী, তাদের সন্তান, মা-বাবারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আপন দেশ/এমএমজেড
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।