ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহী জেলায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী চারঘাট উপজেলায়। ২৯ শয্যার বিপরীতে এখন ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। আর মাত্র তিনজন রোগীর হাসপাতালে ভর্তি নেয়া যাবে। তাহলে চতুর্থ রোগী যাবে কোথায়?
ওদিকে সিভিল সার্জন অফিস থেকে উপজেলাকে হটজোন বলা হচ্ছে। অথচ কিটের অভাবে প্রায় এক মাস ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ ছিল। প্রয়োজনীয় স্যালাইনেরও সরবরাহ ছিল না। অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের তরফ থেকে কিট ও ২০০টি স্যালাইন এসেছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. রিয়াদ জানান, সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলায় ১৭৪ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে তৌহিদ নামে ১৩ বছরের এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২১ জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২৯টি শয্যার মধ্যে ২৬টিতেই ভর্তি রয়েছে ডেঙ্গু রোগী। ফলে অন্য রোগীদের শয্যা মিলছে না। কিট ও স্যালাইন সরবরাহ করায় চিকিৎসা কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে আশা তাঁর।
এদিকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি কাগজে ৩১ শয্যার হলেও আছে ২৯টি। প্রায় সব শয্যায় ডেঙ্গু রোগী। অনেকে শয্যা না পেয়ে বারান্দায় শুয়ে আছেন।
রবিউল ইসলাম নামে একজন জানান, তাঁর মা রিজিয়া পারভীন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দু’দিন ধরে ভর্তি আছেন। কিট না থাকায় ৫০ টাকার ডেঙ্গু পরীক্ষা বাইরের ক্লিনিকে ৫০০ টাকায় করেছেন। সরবরাহ না থাকায় ৯০ টাকার স্যালাইন ৪২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তবে স্যালাইন আসার খবরে স্বস্তি ফিরেছে।
স্বামী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিন দিন ভর্তি থাকলেও স্যালাইন পাননি বলে জানান রাওথা গ্রামের রুনা বেগম। তাঁর ভাষ্য, সবকিছু তিন-চারগুণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তবে সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে একটি স্যালাইন মিলেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, কিট ও স্যালাইন পেয়েছেন। সিভিল সার্জনও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন। ডেঙ্গু রোগী বেশি থাকায় জায়গা, কিট ও স্যালাইন সংকটে চিকিৎসায় বিঘ্ন ঘটছিল। এখন সমস্যা থাকবে না।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।