Apan Desh | আপন দেশ

বকশীগঞ্জে দরবার শরীফে হামলা, ভাংচুর লুটের অভিযোগ

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:২৮, ৮ নভেম্বর ২০২৩

বকশীগঞ্জে দরবার শরীফে হামলা, ভাংচুর লুটের অভিযোগ

আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফ

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ দত্তেরচর গ্রামের আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফে হামলা,ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটেছে।

দরবার শরীফের পীর খাজা তৌহিদুল্লাহকে হত্যার চেষ্টা করেছে এবং ৭৫ লক্ষাধিক টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৮ টার ঘটনা এটি। 

ঘটনার রাতেই পীর খাজা তৌহিদুল্লাহর বড় ভাই অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে ২২জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা।

জানা যায়, জেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের দক্ষিন দত্তেরচর গ্রামের আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফের পীর সাহেব খাজা শাহীন কয়েক মাস আগে মারা যায়। শাহীন খাজা মারা যাওয়ার পর ভক্ত বা জাকেরদের সমার্থনে আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফের গদ্দীনশীন হন শাহীন খাজার ছোট ভাই খাজা তৌহিদুল্লাহ। খাজা তৌহিদুল্লাহ গদ্দীনশীন হওয়ার পর থেকেই তারই ১৯ বছর বয়সী ভাতিজা খাজা সাইম গদ্দীনশীন হওয়ার চেষ্টা করেন। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ দরবার শরীফে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেল ধরেই ৬ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাত ৮ টার সময় আজমেরীগঞ্জ দরবার শরীফে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় নামীয় ২২জনসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জন লোক রাম দা, লাঠিফালা ও লোহার সাবলসহ আজমেরীগঞ্জ দরবার শরীফে প্রবেশ করে তান্ডব চালায়।

হামলকারীরা দরবার শরীফের পীর তৌহিদুল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে খোজঁখোজি করতে থাকে। তাকে না পেয়ে অস্ত্রের মুখে দরবার শরীফের লোকজনকে জিম্মি করে নগদ ৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা ও ৫ লাখ টাকার সমপরিমান স্বর্ণালংকার লুটতরাজ করে নেয়। একই সময় হামলাকারীরা প্রায় ৬০ লাখ টাকার সমপরিমান মালামাল ভাংচুর করে ক্ষতিগ্রস্ত করে। 

ঘটনার খবর পাওয়ার পরই বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে ৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে পীর খাজা তৌহিদুল্লাহর বড় ভাই অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে ২২জনসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের নামে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে প্রধান আসামি করা হয়েছে পীর খাজা তৌহিদুল্লাহর ১৯ বছর বয়সী ভাতিজা খাজা সাইমকে।

ঘটনার পর হামলার বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত সাইম খাজার মতামত জানার জন্য গণমাধ্যম কর্মীরা সাইম খাজার বাড়ীতে গিয়ে তাকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ। ফলে ঘটনার বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত সাইম খাজার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে অভিযোগের বাদী অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ জানান, ঘটনার বিষয়ে আমি থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি। থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ শতভাগ সত্য।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপন দেশ/পলাশ/এবি 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়