ছবি সংগৃহীত
শুনতে গল্পের মতো মনে হয়। কিন্তু ঘটনা সত্য। কুষ্টিয়ার রবিজুল ইসলাম। সাত স্ত্রীকে নিয়ে একই ছাদের নীচে সংসার করছেন। এই প্রবাসীর ঘরে পাঁচ সন্তান। ১৫ বছর ছিলেন লিবিয়ায়। দুই বছর আগে দেশে ফিরেছেন। এখন পেশা ড্রাইভিং শেখানো।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের পাটিকাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা রবিজুল। লিবিয়ায় থাকার সময়ই ১৯৯৯ সালে প্রথম বিয়ে করেন। এরপর একে একে আরও ছয়জনের সঙ্গে ঘরে বাঁধেন।
রবিজুলের সাত স্ত্রীর বাড়ি দেশের চার জেলায়। তারা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হালসা গ্রামের রুবিনা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর এলাকার মিতা আক্তার (২৫), মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ গ্রামের রিতা আক্তার (২০), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), চাঁপাইনবাবগঞ্জের নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকার স্বপ্না (৩০) ও একই উপজেলার ডম্বলপুর গ্রামের বানু আক্তার (৩৫)।
সাত বিয়ের কারণ জানাতে গিয়ে রবিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মা-বাবার একমাত্র ছেলে। আমার একটা সমস্যা ছিল। সে জন্য মা মানত করেছিলেন, ছেলে বেঁচে থাকলে সাতটি বিয়ে দেব। তাই মায়ের সেই মানত পূরণ করতে আমি সাতটি বিয়ে করেছি।
স্ত্রীদের ব্যবহারে সন্তুষ্ট জানিয়ে এই প্রবাসী বলেন, আমি, আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা সবাই খুশি। আমার সাত স্ত্রী খুব ভালো। স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় না।
সুখে আছেন জানিয়ে রবিজুল বলেন, সাত স্ত্রী ও পাঁচ সন্তান নিয়ে সুখের সংসার আমার। সব স্ত্রীরা আমার সেবা-যত্ন করেন। সারাদিন সবাই একসঙ্গে সংসারের কাজ করেন। নিয়ম করে সপ্তাহের সাত রাতে সাত স্ত্রীর কাছে থাকি। এতে কোনো সমস্যা হয় না।
রবিজুল আরও বলেন, আমি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলাম। গত দুই বছর আগে দেশে এসেছি। বর্তমানে আমার একটি ড্রাইভিং শেখার সেন্টার আছে। এ ছাড়া কয়েকটি মাইক্রোবাস রয়েছে। আমি এখন ড্রাইভিং শেখাই।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে রুবিনাকে বিয়ে করেন রবিজুল ইসলাম। এই দম্পত্তির দুই ছেলে রয়েছে। এরপর লিবিয়ায় থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালে হেলেনাকে বিয়ে করেন। এ স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। করোনার সময় ২০২০ সালে নুরুন নাহারকে বিয়ে করেন। তার এক মেয়ে আছে। ২০২২ সালে বিয়ে করেন স্বপ্নাকে। তিন মাস আগে বানুকে, আড়াই মাস আগে রিতাকে এবং দুই মাস আগে মিতাকে বিয়ে করেন। সব বিয়েই করেন পারিবারিকভাবে।
রবিজুলকে ভালো মানুষ দাবি করে স্ত্রীরা জানান, তারা বোনের মতো মিলেমিশে সংসার করছেন। কেউ কাউকে হিংসা করেন না। তারা জেনে-বুঝেই বিয়ে করেছেন।
প্রতিবেশীরা জানান, রবিজুল ইসলাম সাতটি বিয়ে করেছেন। সাত স্ত্রী নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। সাত স্ত্রী মিলেমিশে সংসার করছেন। এলাকার মানুষ তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তারা ভালোই আছে।
আাপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।