Apan Desh | আপন দেশ

বাঘ মেরে গাছে ঝুলিয়ে রাখলো এলাকাবাসী

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

বাঘ মেরে গাছে ঝুলিয়ে রাখলো এলাকাবাসী

ছবি : সংগৃহীত

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে একটি চিতা বাঘকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এলাকাবাসী। পরে বাঘটিকে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনা ঘটেছে। বাঘটিকে দেখতে ভীড় জমায় স্থানীয় লোকজন। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মাগুরা এলাকার আকালিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকালে ওই চিতা বাঘের আক্রমণে শিশুসহ ৪ জন আহত হন।

আহতরা হলেন- মাগুরা ইউনিয়নের আকালিপাড়া গ্রামের বুদু মিয়ার ছেলে বুলেট মিয়া (২৮), একই এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে ফেরদৌস আলম (৩৫), ছকমাল হোসেনের ছেলে নায়েব আলী (৪০) ও মাগুরা উত্তর পাড়া গ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে জান্নাতুল (৮)।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাঘটি কোথা থেকে ও কীভাবে লোকালয়ে এসেছে তা তারা জানে না। বুধবার বেলা ১১টায় রংপুর-দিনাজপুর তিস্তা সেচ ক্যানেলের সেতু সংলগ্ন একটি গাছে চিতা বাঘটিকে বসে থাকতে দেখে শিশুরা চিৎকার দেয়। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী বাঘ দেখার জন্য ভিড় জমায় ও তখন প্রশাসনের মাধ্যমে বন বিভাগকে খবর দেওয়া হয়। 

বন বিভাগ থেকে কেউ এসে পৌঁছানোর আগেই বাঘটি গাছ থেকে লাফ দিয়ে নেমে শিশুসহ চারজনকে আক্রমণ করে। পরে স্থানীয়রা বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এরপর তারা মৃত বাঘটিকে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। বাঘটিকে এক নজর দেখার জন্য হাজার হাজার উৎসুক জনতার ভিড় জমায়। বাঘের আক্রমণে আহত ব্যক্তিদেরকে স্থানীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। বাঘটি হামলা করার কারণে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। বন বিভাগের লোকজন এসে মৃত বাঘটিকে নিয়ে যাচ্ছে। আক্রমণে আহতদের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রংপুর বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায় বলেন, আমাদের লোকজন সেখানে কাজ করছেন। আমরা আপনাদের পরে বিস্তারিত জানতে পারব।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়