ছবি: আপন দেশ
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ঈগল প্রতীকের দুই সমর্থকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। আহতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থক। তারা ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গুলজার মন্ডলের ডাঙ্গি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ওই গ্রামের আব্দুল আজিজ শেখ (৬৫) ও সিদ্দিক শেখ (২৫)।
সিদ্দিক শেখ বলেন, এ কে আজাদের নির্বাচন করি। এজন্য সকালে নির্বাচনী ক্যাম্পে যাওয়ার পথে নৌকার কর্মী হালিম শেখ আমাকে গালমন্দ করে। আমাকে বলে, আমি যেন ঈগলের নির্বাচন না করি। এ কথা বলেই সে আমাকে মার শুরু করে, কিল, ঘুষি, লাথি মেরে মাটিতে ফেলে লাথি দেয়।
তিনি বলেন, ‘কাকা আব্দুল আজিজ শেখ আমাকে রক্ষা করতে এলে, তারা তাকেও মারধর করে’।
আহত আব্দুল আজিজ শেখ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হোসেনের আদেশে ৭-৮ জন আমাদের ওপর হামলা করে।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে দিয়ে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘ওই এলাকায় কিছুদিন আগে একটি বাল্যবিয়ের ঘটনায় সিদ্দিক জড়িত ছিল। তাই আজ সকালে সিদ্দিককে ডেকে দুইটি থাপ্পড় দেয় হালিম। কিন্তু পরে তা এ কে আজাদ আর শামীম হকের সমর্থকদের মধ্যে হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। আমি সকালেই পুলিশকে জানিয়েছি।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘আহতদের শরীর ও মাথায় কিল-ঘুষির আঘাত আছে। মাথার এক্স-রে করতে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন>> ‘ভোট বন্ধের প্রচারণা মানবাধিকার লঙ্ঘন’
উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘হামলার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। স্থানীয়রা জানিয়েছে, হালিম শেখ নৌকার সমর্থক, আর সিদ্দিক শেখ ঈগলের সমর্থক। সিদ্দিক শেখ কিছুদিন আগে ঈগলের পক্ষে যোগ দেন। এ নিয়ে চাচা-ভাতিজার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুইজন কিলঘুষি দিয়েছে।’
জানতে চাইলে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।