Apan Desh | আপন দেশ

পেঁয়াজের ভালো ফলন, ভালো দাম

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৫৮, ১২ জানুয়ারি ২০২৪

পেঁয়াজের ভালো ফলন, ভালো দাম

ছবি: আপন দেশ

রান্নার প্রধান মশলা মধ্যে অন্যতম হলো পেঁয়াজ। প্রতি বছরের পেঁয়াজ সংকটে পড়তে হয় বাংলাদেশিদের। তবে দেশীয় জাঁতের পেঁয়াজে চাহিদা পূরণে বেশি ভূমিকা রাখছে চরাঞ্চলের চাষিরা। এ বছর চরে পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে উৎপাদন। সেই সঙ্গে বেড়েছে দাম। ফলে খুশি কৃষকও। অপরদিকে চরে আবাদ হওয়া পেঁয়াজ কলি (ফুলকা বা পেঁয়াজ ফুলের ডাটা) যাচ্ছে ভারতে।

জেলায় ৯৫০ হেক্টর জমি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি অফিস। কন্দ পেঁয়াজ ১৭০ হেক্টর, রোপা পেঁয়াজ ৪৪২ হেক্টর রোপন করা হয়েছে। ছিটানো পেঁয়াজ এখন পর্যন্ত ১৮২ হেক্টর লাগানো হয়েছে।

নীলফামারীর ডিমলার তিস্তায় পেঁয়াজের ব্যাপক চাষাবাদ। কিন্তু ক্রেতাদের নাগালের বাইরেই থাকে সচরাচর। উৎপাদন হিসেবে স্বল্পমূল্য থাকার কথা থাকলেও বাস্তব চিত্র উল্টো। ২৪০০-২৮০০ টাকা মণ বিক্রি হলেও ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০-১১০ টাকা। এখানে খুচরা ক্রেতা যেমন জিম্মি, তেমনি মাথার ঘাম ঝড়ানো কৃষকও জিম্মি। তারা দীর্ঘদিন সন্তানের মতো লালন-পালনের পরেও যে লভ্যাংশের মুখ দেখতে পারেন বিপরীতে তার চেয়ে ঘণ্টা ব্যবধানে দ্বিগুণ লাভ বুঝে নিচ্ছে ফরিয়া বা দালালরা।

উত্তর খড়িবাড়ী গ্রামের রুহুল আমিন জানান, চাহিদা অনুযায়ী ফসল হলেও মাঠ থেকে কেউ নিতে চায় না। শুটিবাড়িতে নিয়ে বিক্রি করলে সপ্তাহে দুইটি হাট পাওয়া যায়- একটি মঙ্গলবার, অপরটি শুক্রবারে। আর বাউরা বাজারে নিয়ে গেলে বৃহস্পতিবার-সোমবারে। বাকি তিনদিন ফসল তোলার কোনো উপযুক্ত সময় নেই। আর বাইরে থেকে যদি ফরিয়া বা পাইকার আসতো তাহলে প্রতিদিনে তোলা যেতো, ভালো দামও পাওয়া যেতো।

একতা বাজার গ্রামের তারাজুল ইসলাম জানান, দুই বিঘায় পেঁয়াজ লাগিয়েছি। ফলন বাম্পার হয়েছে, বিগত বছরের চেয়ে দাম বেশি আছে। শুক্রবার হাটে ২৪০০ টাকা মণ বিক্রি করেছি। পরে আরও দাম বেশি হয়েছিল ২৫০০-২৮০০ মণ। তবে আমরা যদি জেলার বাইরে পাঠাতে পারতাম তাহলে আরও বেশি দাম পেতাম।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস. এম. আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, এ বছর ছিটানো, রোপা ও কন্দ পেঁয়াজ ৯৫০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কন্দ পেঁয়াজ ৭৫ শতাংশ বাজার জাত হয়ে গেছে। জেলার সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ও ডিমলা উপজেলার তিস্তার চরে কোন্দ ও রোপা পেঁয়াজের চাষাবাদ বেশি হয়ে থাকে। আর ছিটানো পেঁয়াজ আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত লাগাবে। সকল ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছে।

আপন দেশ/আরএস/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়