ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লা-৩ আসনে নৌকার ভরাডুবির পর নির্বিচার হামলা শুরু করেছে বিজয়ী স্বতন্ত্রপ্রার্থী (ঈগল) জাহাঙ্গীর আলম সরকারের সমর্থকরা। মঙ্গলবার হামলা করা হয়েছে মুরাদনগর দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের মো: শফিকুল ইসলাম ওলির উপর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও দুই দিনেও মামলা নেয়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শফিকুল ইসলাম ঘটনার দিন বেলা সাড়ে ১১টায় দড়িকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলামের কাছ থেকে পাওনা টাকা আনতে যান। ফেরার পথে ওঁৎ পেতে থাকা আব্দুর রহিম ও তার ৬/৭জন সহযোগি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শফিকুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দা দিয়ে গলায় কোপ দেয়। কোপটি পড়ে মাথায়। শফিক পড়ে গেলে তার দুই পায়ে রড ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। পিঠে মেরে রক্তাক্ত করা হয়। চিকিৎসারে লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ সময় শফিকুলের সঙ্গে থাকা নগদ ১ লাখ ২ হাজার টাকা, ৩০ হাজার টাকা দামের রেডমি এনড্রয়েড ফোন সেটটি ছিনিয়ে নেয়। গুরুতর যখম অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারী আব্দুর রহিম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী (ঈগল) প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সরকারের পক্ষে কাজ করেন। দীর্ঘ দিন তিনি গ্রামের ব্যক্তিমালিকানাধীন বিশাল একটি জলাশয় নিজের দখলে রেখেছেন। মানুষের ফসলি জমি বিনষ্ট করে চালিয়ে আসছেন কোটি কোটি টাকার মাছ ব্যবসা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন তরুণ সমাজকর্মী শফিকুল ইসলাম ওলি। এ নিয়ে তার সঙ্গে রহিমের বিরোধ ছিলো। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের সমর্থিত প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরপই রহিম অনুসারীরা গ্রামে শক্তির মহড়া দিতে থাকে। লাঠিসোটা নিয়ে পাড়ায় টহল দেয়া শুরু করে। এতে গ্রামবাসী সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘটনার পর মঙ্গলবারই আব্দুর রহিম, তার পুত্র ইমরান হোসেন, আব্দুল করিমের ছেলে ইয়ামিন, অধু মিয়ার ছেলে ইসমাইল, শফিক মিয়ার ছেলে শাওন, রোশন আলীর ছেলের হাসানকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদনগর থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র রায় প্রতিবেদককে বলেন, লিখিত একটি এজাহারের আবেদন পেয়েছি। পরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাই। হাসপাতালে আহতকে দেখতে গিয়েছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। উভয়পক্ষের লোকজনই আমার কাছে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, নবনির্বাচিত এমপি মহোদয় জানিয়েছেন, উভয়পক্ষই তার লোক। বিষয়টি তিনি দেখবেন। এ কারণেই এখনো মামলা হয়নি।
আপনর দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।