ছবি: সংগৃহীত
সরকার ঘোষিত বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন করেছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করেন তারা। এদিন সকালে আন্দোলনরত শ্রমিকরা একটি কারখানায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করে। পরে ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, যমুনা স্পিনিং ডিভিশন এবং মালেক স্পিনিং মিলের শ্রমিকরা সকালে আন্দোলনে নামেন। পরে তারা ডেনিম এশিয়া কারখানায় যান। সেখানে বিক্ষোভের একপর্যায়ে কারখানার গেটে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। পরে শিল্পাঞ্চল পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ে আনে। এরপর শ্রমিকদের বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কেউ কেউ জানিয়েছেন কারখানা ছুটি দিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>> আলু-পেঁয়াজে স্বস্তি, আগের দামেই মাছ-মাংস-ডিম
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, তারা সাত হাজার টাকা বা তার কিছু বেশি বেতন পান। কিন্তু সরকার ঘোষিত বেতন কাঠামো এখনও বাস্তবায়ন করেননি মালিকরা। সরকার সর্বনিম্ন সাড়ে ১২ হাজার টাকার বেতন নির্ধারণ করেছে। তবে মালিকপক্ষ এই নির্দেশনা মানছেন না। শ্রমিকদের আগের বেতনই দিচ্ছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেতনের সাত-আট হাজার টাকা দিয়ে চলা কষ্টকর। তাই সরকার নির্ধারিত নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন চান তারা।
যমুনা স্পিনিং ডিভিশনের শ্রমিক আলাল সরকার বলেন, সাত হাজার টাকা বেতনে সংসার চলে না। কোনমতে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। মালিকপক্ষ সরকারের নির্দেশনা মানবে না, জানিয়ে দিয়েছে। আন্দোলন করলে কারখানা বন্ধ রাখার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
মালেক স্পিনিং মিলের লাইনম্যান খাদিজা আক্তার পিংকি বলেন, ‘বাজারে গেলে জিনিসপত্রের দাম শুনে মাথা ঘুরে যায়। সাত-আট হাজার টাকার বেতনে সংসার চালাতে হিমশিম খাই। তাই বেতন বাড়াতে আন্দোলনে নেমেছি।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পরিদর্শক (কালিয়াকৈর) নিতাই চন্দ্র সরকার বলেন, যমুনা স্পিনিং ডিভিশন এবং মালেক স্পিনিং মিলের শ্রমিকরা আন্দোলনের একপর্যায়ে ডেনিম এশিয়া কারখানায় ভাঙচুর করেছে। পরে তাদের বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
