ছবি: সংগৃহীত
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববিবার (২৮ জানুয়ারি) দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সকাল ৬টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বইছে এই দুই জেলায়। এছাড়াও উত্তরের সব জেলায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ফলে কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘনকুয়াশায় ঢেকে আছে চারপাশ। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহনের উপস্থিতি কম। অনেক যানবাহন ঘন কুয়াশার কারণে লাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। তীব্র শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। দুর্ভোগের অন্ত নেই শিশু ও বৃদ্ধদেরও। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, জানুয়ারি মাসজুড়েই জেলায় তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি। যা চলতি বছরে এ জেলার সবচেয়ে কম তাপমাত্রা।
আরও পড়ুন>> দেশে রেকর্ড ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদন
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্। তিনি বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাসে জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। আজ সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে এবং চলতি শীত মৌসুমের মধ্যেও সর্বনিম্ন।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, যদি কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০-৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকে, তাহলে সেখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে, সেটিকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। এর নিচে নামলে সেটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।