Apan Desh | আপন দেশ

লাখপ্রতি ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেন তিনি

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪

লাখপ্রতি ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেন তিনি

ছবি: আপন দেশ

গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, কাজ শেষ। বরাদ্দ পাঁচ লাখ টাকা। প্রতি লাখ টাকায় ঘুষ দিতে হয় ২০ হাজার টাকা। সে হিসাবে পাঁচ লাখ টাকায় ঘুষ হয়েছে এক লাখ। এসব টাকা নিয়েছেন সৈয়দপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)। এ পদের দায়িত্বে আছেন মির্জা মো. আবু ছাইদ। চুক্তির টাকা না পেয়ে বিপাকে প্রকল্প চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার। প্রতিকার চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক বরাবর।

উপজেলার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়েমর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কাজ না পাওয়ার আশঙ্কায় মুখ খুলেন না কেউই। পিআইও অফিসের ঘুষ বা কমিশন বাণিজ্য ওপেন সিক্রেট। কাবিখা, কাবিটা, মাটি কাটা অন্যান্য প্রকল্পের কাজে অনিয়ম সচরাচর হচ্ছে। এমনটাই দাবি ভুক্তভোগী একাধিক ঠিকাদারের।

আরও পড়ুন>> জারত কাম না করিলে ক্ষেত নষ্ট হইবো

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জেলেপাড়ার আহাদ আলীর বাড়ি হতে আইয়ুব আলীর বাড়ি পর্যন্ত সড়কে মাটি ভরাট ও কংক্রিট (সিসি) ঢালাই করা হয়েছে। কাবিখা-কাবিটা কর্মসূচির আওতায়, চলতি অর্থবছরে এই প্রকল্পে পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে প্রকল্প চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান।

কাজ শেষ করেন। কিন্তু বরাদ্দকৃত টাকা তুলতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। পিআইও মোট এক লাখ টাকা জোরপূর্বক কেটে নেন। এর প্রতিবাদ করলে পিআইও বলেন, এটা আমার কমিশন। ১৫ শতাংশের কম আমি নেই না। এই হিসেবে ৭৫ হাজার টাকা। আর অফিস খরচ বাবদ জয়নুল ও কাদেরের জন্য ৫ শতাংশ হারে ২৫ হাজার টাকা। যা সবাই জানে। তাই এক লাখ টাকা নিয়েছি।

প্রকল্প চেয়ারম্যান বলেন, এলাকার মানুষের সুবিধার্থে তৎকালীন এমপি আহসান আদেলুর রহমান আদেল বরাদ্দ দেন। কাজ শুরু করলে প্রথম কিস্তির ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা তুলে পিআইও। দেয় মাত্র ২ লাখ টাকা। ভেবেছিলাম কাজ শেষে পুরো টাকা পাওয়া যাবে। দেননি। একইভাবে ৫০ হাজার টাকা রেখে ২ লাখ টাকা দেন।

আরও পড়ুন>> ঘরে মিলল বাবা-মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ

লুৎফর রহমান বলেন, এভাবে পাঁচ লাখ টাকার কাজে এক লাখ টাকা নিয়েছেন পিআইও। অথচ শতভাগ কাজ করা হয়েছে। সরকারি কাজে এমন কমিশনের কোন নিয়ম আছে? জানলে সবার মতো নামকাওয়াস্তে কাজ করে কমিশন দেয়া যেত। জেলা প্রশাসকের কাছে বাকি টাকা ফেরত পেতে, অনিয়মের বিচার দাবিতে লিখিত আবেদন করেছি।

অভিযোগের ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা পিআইও মির্জা মো. আবু ছাইদ বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। লুৎফর রহমানকে আমি কখনও দেখিনি, চিনিও না। তার কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। পরে স্থানীয় একজন ঠিকাদারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ওই লোককে প্ররোচিত করে একটা গ্রুপ অভিযোগ করিয়েছে। যারা আমার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা না পেয়ে ক্ষুব্ধ, তারাই এমন করেছে।

আপন দেশ/আরএস/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়