ছবি: সংগৃহীত
বাসর রাত। মসজিদের মিনার থেকে ফজরের আজান ভেসে আসছে। নববধূকে নিয়ে পুকুরে অজু করে বর। স্ত্রীকে বাড়িতে পাঠিয়ে মসজিদের দিকে রওনা হয় ওমর আলী (২৫)। সকাল হলেও বাড়িতে ফেরেননি। উদ্ধার হয় তার গলাকাটা মরদেহ। ঘটনাটি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টায় ওমর আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উপজেলার তাহের পুর গ্রামে তার বাড়ি। শাহজাহান ফরাজীর ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ওমর আলীর সঙ্গে উপজেলার তাজেপাড়া গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে রুকাইয়ার (১৮) বিয়ে হয়। সোমবার কনের বাড়িতে বৌভাত শেষে রুকাইয়াকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। বাসর শেষে ভোরে ওমর আলী নামাজ পড়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়। পরে সকাল সাতটার দিকে স্থানীয়রা মরিচ ক্ষেতে তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়।
আরও পড়ুন>> ধর্ষকের জরিমানা এক হাজার টাকা!
নববধূ রুকাইয়া (১৮) বলেন, ফজরের আজানের পর দু’জনে পুকুরে অজু করতে যাই। সে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছিল আর আমি ঘরে ফিরে এসেছি। পরে সাতটার দিকে শুনতে পাই তার গলাকাটা মরদেহ মরিচ ক্ষেতে পড়ে আছে।
ওমর আলীর বাবা শাহজাহান ফরাজী বলেন, ফজরের সময় ছেলে ও বউকে পুকুর পাড়ে দেখে আমি মসজিদে গিয়েছি। পরে জামায়াত শেষে ফিরে এসে দেখি মরিচ ক্ষেতে ছেলের মরদেহ পড়ে আছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় দা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।