ছবি: সংগৃহীত
নীলফামারী জেলার ছয়টি উপজেলা। রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধানের চারা রোপনে সফলতা পেয়েছে কৃষক। সহায়তা করেছেন উপজেলার ১৮ জন উদ্যোক্তা।
খামার বাড়ি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলাগুলোতে ১৮ জন উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়। ২০২৩ সাল, তাদের মাধ্যমে ৪২০ হেক্টর জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহারে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছিল। ফলে জেলায় ৩৩১ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান উৎপাদন হয়েছে। প্রায় এক কোটি টাকা অতিরিক্ত অর্থ আয় করেছে কৃষকরা।
অর্থনৈতিকভাবে লাভজন হওয়ায় এ প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকরা এগিয়ে আসছেন। জেলায় দিন দিন উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি যন্ত্র দ্বারা ধান রোপণের এলাকাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৪ সালে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র দ্বারা ছয় উপজেলায় ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে সদর, কিশোরগঞ্জ ও ডিমলা উপজেলায় যন্ত্র দ্বারা ধান রোপণের পরিমাণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। উদ্যোক্তারা জেলা কমিটি গঠন করে তাদের কার্যক্রম প্রসারের উদ্যোগ নিয়েছেন।
সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের বসুনিয়াপাড়ার রহিম বসুনিয়া জানান, উদ্যোক্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে আমার ৮০ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপন করে দেয়। কম সময় ও কম খরচে অধিক ফলন পেয়ে খুশি।
জেলা খামার যান্ত্রিকীকরণ উদ্যোক্তা কমিটি সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি ও তার টিম ১০০০-১২০০ টাকায় যন্ত্র উপযোগী চারা তৈরি, ও জমিতে রোপণ করে দেন। তাদের এ কার্যক্রমে জেলার উপ-পরিচালক, কৃষি প্রকৌশলী ও কৃষি অফিসারগণ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সার্বিক সহযোগিতা করে আসছেন।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগে উপজেলার সদরের তরুণীবাড়ী গ্রামে সোমবার উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ। সভাপতিত্ব করেন উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা বকুল ইসলাম, জেলা কৃষি প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার কর, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রফুল্ল কুমার রায় প্রমুখ।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।