ছবি: সংগৃহীত
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কবির। তার বিরুদ্ধে টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সাতটি গাছের অর্ধেক অংশ ও তিনটি গাছ কর্তন করেছেন তিনি।
বিদ্যালয়টির একপাশে প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানকার তিনটি, অপর প্রান্তের সাতটি গাছের অর্ধক অংশ কেটে তা বিক্রি করেছেন। প্রথমে স্থানীয়রা গাছ কাটতে নিষেধ করেন। কিন্তু ওই শিক্ষক ইউএনও’র নির্দেশে কাটছেন বলে জানান। এতে স্থানীয়রা আর কোন কথা বাড়াননি। পরে পুলিশকে খবর ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দেন।
অভিভাবক সদস্য কাওসার তালুকদার, জমিদাতা পরিবারের সদস্য পারভেজ তালুকদার, সাইদুলসহ একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির কাউকে কিছু জানাননি। এছাড়া কোনো টেন্ডার ছাড়াই গাছ কেটে তা বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে বাধা দিলে ওই শিক্ষক প্রথমে বলেন, ‘আমি ইউএনও স্যারের অনুমতি নিয়ে গাছ কেটেছি’।
আরও পড়ুন>> জনগণের ভোগান্তি কোটি টাকার সেতু
স্থানীয়রা খবর নিয়ে জানতে পারেন যে, এ ধরনের কোনো অনুমতি দেননি ইউএনও। পরে বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জানান তারা।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. কবির জানান, আমি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরজুদা বেগমের মৌখিক অনুমতি নিয়ে গাছ কেটেছি। গাছের কাটা অংশ শ্রমকিদের দিয়ে দিয়েছি, মজুরি বাবদ।
রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকতার হোসেন বলেন, পুটিয়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়ে আমরা কেউ অবগত নই। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আরজুদা বেগমকে পাঠিয়েছি। প্রধান শিক্ষক মো. কবিরের টেন্ডার ছাড়া গাছ কাটার কোনো ক্ষমতা নেই। এ বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানের নোটিশ দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, এই গাছ কাটার বিষয়ে আমি অবগত না। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে তদন্ত করতে লোক পাঠিয়েছি।
আপন দেশ/এআই/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।