ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামে উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশ-হকার সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এতে এক হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সিটি কর্পোরেশনের পেশকার মো. আবু জাফর চৌধুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ।
গতকাল সোমবার, নগরীর নিউমার্কেট মোড় থেকে ফলমণ্ডি পর্যন্ত। হকারদের পুনর্দখল ঠেকাতে অভিযান চালায় চসিক। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অভিযানে ব্যবহৃত চসিকের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আহত হন চসিক কর্মী ও পুলিশ সদস্য। ঘটনার সময় হকাররা বিক্ষোভ মিছিলও বের করেন।
জানা গেছে, অভিযানে চসিক কর্মকর্তাদের নেতৃত্ব দেন চৈতী সর্ববিদ্যা, শাহরিন ফেরদৌসী, আরাফাত রহমান সানি। কর্মকর্তারা জানান, চসিকের অভিযানে হকাররা বাধা দিয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০-১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। চসিকের চার-পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন>> অর্থমন্ত্রীর ভাইয়ের কাণ্ডে তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অ্যাডিশনাল কমিশনার আবদুল মান্নান মিয়া সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনে। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। ঘটনার সময় চার জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার সমিতির সভাপতি নূরুল আলম লেদু বলেন, হকাররা নিরাপদ দূরত্বে বসে ছিলেন। চসিকের লোকজন হকারদের মারধর করছিলেন। ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করেছেন কয়েকজনকে। কারাদণ্ডও দিয়েছেন। এর প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করছিলাম।
তিনি বলেন, ওঁৎ পেতে থাকা বহিরাগতরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়েছে। তারা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের আক্রমণে হকাররা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ সময় কয়েক জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা সাজানো হবে এবং আমাদের গ্রেফতার করা হবে বলেও আশঙ্কা করছি।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।