Apan Desh | আপন দেশ

‘চোর থেকে আমরা ভালো মানুষ হলেই দেশ উন্নত হবে’

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৪১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ২০:৪৪, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

‘চোর থেকে আমরা ভালো মানুষ হলেই দেশ উন্নত হবে’

পুরনো ছবি: রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

আগে আমাদেরকে চোর থেকে ভালো মানুষ হতে হবে, তাহলেই দেশ উন্নত হবে। রেলওয়ে কারখানাও আধুনিক হবে, উন্নয়ন ঘটবে। আমরা চেষ্টা করছি, এখন দেশবাসী সকলকে সম্মিলিতভাবে রেল ও দেশকে রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এমন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। তিনি আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

রেলমন্য়ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রেলওয়েতে গোল্ডেন হ্যান্ডস্যাক দিয়ে অসংখ্য দক্ষ ও যোগ্য লোকবল অবসর নেয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল এ সেক্টর। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেলওয়েকে উন্নয়নের চেষ্টা করছে। আমি আজ দেখতে ও জানতে এসেছি, সার্বিক জেনে বুঝে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। 

মন্ত্রী বলেন, অবকাঠামোসহ জনবল নিয়োগে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রেলওয়ের ভুসম্পত্তিসহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ কাজে লাগিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন করা হবে। তবে অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়া বাংলো, কোয়াটার ও জায়গা উদ্ধারে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়েও কোন কথা বলেননি। সৈয়দপুরে রেলওয়ে হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজে রুপান্তরের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরও দেননি তিনি।

সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন যে, গত প্রায় ১৫ বছর যাবত আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়। এ দীর্ঘ সময়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কার্যকর কোন আধুনিকায়ন বা প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও বরাদ্দ বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেয়া হয়নি কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। অনেক ক্ষেত্রে সফল হলেও এক্ষেত্রে এখনও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। নতুন এসেছি, অবশ্যই কাজ করবো।

এসময় তিনি দরিদ্র জনগোষ্ঠির যারা রেলওয়ের জমিতে বসবাস করছেন তাদের বিষয়ে বলেন, এনিয়ে ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে সহজ শর্তে লিজ প্রদান করার উদ্যোগ নেয়া হবে। আর যারা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন তাদের মানসিকতা দেশ বিরোধী। তারা জেনে বুঝে অন্যায়ভাবে অবৈধ পন্থায় স্থাপনা করেছেন। তাদের ব্যাপারেও তালিকা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দক্ষ জনবল ও কারিগর অবসর নেয়ায় রেলওয়ে কারখানা হুমকির মুখে পড়েছে। এমতাবস্থায় নতুন নিয়োগ দেয়া ও তাদের দ্রুত প্রশিক্ষণের উদ্যোগের বিষয়েও তিনি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। বিকল্প উপায়ে লোকবল নেয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।

এ সময় মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন, রেলওয়ে মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, মহাপরিচালক কামরুল আহসান, জেনারেল ম্যানেজার অসিম কুমার তালুকদার, এডিজিএম পার্থ সরকার, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (পশ্চিমাঞ্চল) মো. কুদরত ই খুদা, নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের এমপি সিদ্দিকুল আলম, রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়ক (ডিএসডাব্লু) সাদেকুর রহমান, কর্ম ব্যবস্থাপক (ডাব্লু এম) শেখ হাসানুজ্জামান, সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইসমাইল, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন, জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সৈয়দপুর পৌর সদস্য সচিব রাকিব খান, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেনসহ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, রেলওয়ে শ্রমিক সংগঠনসমুহের নেতাকর্মী ও কর্মচারীবৃন্দ।

এর আগে মন্ত্রী সকাল সাড়ে ১১ টায় পার্বতীপুর ক্যারেজ লোকোমোটিভ কারখানা পরিদর্শন শেষে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় এসে পৌছেন। এসময় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত সৈয়দপর রেলওয়ে কারখানার শহীদ শ্রমিক কর্মচারীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন মন্ত্রী। পরে তিনি ক্যারেজ শপ, ফাউন্ড্রি শপ ও প্রোডাকশন মেশিন শপ পরিদর্শন করেন। শেষে তিনি কারখানার বিভাগীয় তত্বাবধায়কের (ডিএস) ভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। পরিদর্শণ সমাপ্ত করে আবারও পার্বতীপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়