ছবি: আপন দেশ
একুশে ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতার বাকি কয়েক ঘণ্টা। মধ্যরাতে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুতি চলছে বাউফলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তবে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানে নেই স্থায়ী শহিদ মিনার। তাদের ভরসা কলাগাছ, কাঠ ও রঙিন কাগজের তৈরি মিনার। উপজেলার ৩০৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই।
শিক্ষা বিভাগের তথ্য মতে, উপজেলায় ১১ কলেজ, ৫৯ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬৭ মাদরাসা ও ২৩৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে ১৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫০ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সাত কলেজে শহিদ মিনার আছে। ৬৭ মাদরাসাসহ ৩০৫ প্রতিষ্ঠানে নেই স্থায়ী শহিদ মিনার। এছাড়াও উপজেলায় শতাধিক বেসরকারি বিদ্যালয়-মাদরাসার কোনোটিতেই মিনার নেই।
বাউফল সরকারি কলেজ, ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজ, কেশবপুর ডিগ্রি কলেজ, কালাইমা কামিল মাদরাসা, ধানদী কামিল মাদ্রাসা, বাউফল ফাজিল মাদরাসা, কেশবপুর এন.এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চন্দ্রদ্বীপ আ স ম ফিরোজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলী আকবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালাইয়া কোটপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। যেগুলো কোনো শহিদ মিনার নেই।
আরও পড়ুন>> কেন্দ্রে সব পরীক্ষার্থীই ভুয়া
প্রতিবছর কলাগাছে রঙিন কাগজ দিয়ে শহিদ মিনার বানিয়ে শ্রদ্ধা জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কালাইয়া কোটপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুহিদ বিল্লাহ আবিদ। এ শিক্ষার্থী জানায়, প্রতিবছর শহিদ মিনার বানাতে তাদের বেশ কষ্ট করতে হয়। স্থায়ী মিনার না থাকায় এ তাৎপর্য সম্পর্কে জানতেও আগ্রহ জন্মায় না। একটি পাকা শহিদ মিনার প্রয়োজন বলেও জানায়।
আলী আকরব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য একাধিক দফতরে আবেদন করেছি। এখনো বরাদ্দ পাইনি। সেজন্য কাঠের তৈরি অস্থায়ী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করি।
এদিকে উপজেলার ৬৭ মাদরাসার একটিতেও শহিদ মিনার নেই। অভিযোগ রয়েছে এসব মাদরাসায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা স্বরূপ পুষ্পস্তবক দেয়া হয় না। তবে অভিযোগে নাকচ না করলেও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দাবি, মাদরাসায় শহিদ মিনার না থাকায় ফুল দেয়া হয় না। তবে দোয়া মিলাদ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য শিক্ষা অধিদফতরে চাহিদা পাঠিয়েছি। স্থানীয়ভাবে কিছু বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বছরও পাঁচটি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক বলেন, বেশিরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার আছে। বাকিগুলোর
জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
আপন দেশ/এসএমএ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।