ছবি: আপন দেশ
মিতব্যয়ী হতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে অপব্যয়ের খাত খুলে বসেছে পটুয়াখালী পৌরসভা। সারারাত শহরের বিভিন্ন সড়কে রং-বেরঙের বাতি জ্বলে। এতে বাড়ছে পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল। একইসঙ্গে বাড়ছে পৌর কর। কমছে সেবা ও সেবার মান। গত সাড়ে চার বছরে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। বিল আদায়ে বিদ্যুৎ অফিস বারবার তাগাদাপত্র দিলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।
এখনো পৌরসভার প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক কাঁচা। একই সঙ্গে সড়কের বেহাল দশার কারণে চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ। সেদিকের উন্নয়নে পৌর কর্তৃপক্ষ মনোনিবেশ না করে অপব্যয় করছে। এমনটাই দাবি পৌর বাসিন্দাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, প্রতি বছর গাণিতিক হারে পৌর কর বাড়িয়েও ১০ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া। তারপর আবার রাত অবধি সড়কে এতো আলোকসজ্জার কোনো মানে আছে কিনা, তা তাদের বোধগম্য নয়। অনেকে আবার এটিকে ব্যাখ্যা করেছেন আসন্ন পৌর নির্বাচনে রাজনীতির অংশ হিসেবে। তরুণ ভোটারদের আকৃষ্টের কৌশলও বলছেন কেউ কেউ।
পটুয়াখালী ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, পৌরভবন, রাস্তা, পানির পাম্পসহ প্রায় ৩২ হিসাবের বিপরীতে এ বিদ্যুৎ বিল হয়েছে। গত সাড়ে চার বছরে ৯ কোটি ৯৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯২ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি। নিয়মিত বিল পরিশোধ না করায় বারবার তাগাদা চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে অজ্ঞাত কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধ করেননি।
পটুয়াখালী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দীন মোহাম্মদ মহিম জানান, পৌরসভার বয়েকা বিলের প্রায় ১০ কোটি টাকা। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হয়েছে। তবে গত বছরের জুন থেকে মাসিক বিল পরিশোধ করলেও এখনো বিপুল পরিমাণ বকেয়া রয়েছে।
আরও পড়ুন>> শহিদ মিনার নেই, ৩০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভরসা কলাগাছ
সংশিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ নিয়ে সভা হয়। এতে জেলা প্রশাসকও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে নির্বাচন চলমান থাকায় বিষয়টি পরে দেখার ব্যাপারে আলোচনা হয়। তখন বকেয়া পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্নের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিদ্যুৎ বিভাগ।
পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী রিয়াজ উদ্দিন মজুমদার জানান, নতুন নতুন কিছু রোড করা হয়েছে। এগুলোতে আলোকসজ্জা করায় বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় বাড়ছে। বর্তমানে ১৬ লক্ষাদিক টাকার মতো বিদ্যুৎ বিল আসছে। যা আগে ছিল ১৩/১৪ লাখ টাকার মতো। আর বকেয়ার বিষয়ে মেয়র মহোদয় বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে জানতে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদকে একাধিকবার কল করা হয়। তবে তাকে পাওয়া যায়নি।
আপন দেশ/জেআর/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।