ছবি: সংগৃহীত
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে নারী ও শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে ভাসানচর ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে জেলা সদর হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টার ঘরে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ভাসানচরে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইএনএইচসিআর) কার্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আহতরা হলেন- রশমিদা (৩), জোবায়দা (১০), মোবাশ্বেরা (৩), মো. রাসেল (৩), মো. সোহেল (৫), মো. রবিউল (৫), সফি আলম (১৫), মো. বশির উল্যাহ (১৬) ও আমেনা খাতুন (২৫)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এদিন সকালে ভাসানচরের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের আবদুর শুক্কুরের ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়। এক পর্যায়ে বিস্ফোরিত ঘটে। এ সময় ঘরের বাসিন্দা, আশপাশে থাকা শিশু ও নারীসহ ৯ জন দগ্ধ হন।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় রোহিঙ্গারা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পরে পুলিশ গিয়ে দগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে। তাদের ভাসনচরের ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। আগুনে ক্লাস্টার ঘরটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বাতাসের সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আহত বেশি হয়েছেন।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হাসিনা জাহান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দগ্ধ ৯ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার মধ্যে ছয়জন শিশু। বাকি দুইজন পুরুষ ও একজন মহিলা। পুরুষ দুজন এ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শিশুদের অবস্থা খুবই খারাপ। এক শিশুর শতভাগ, অন্যদের প্রায় ৬০ শতাংশের ওপরে দগ্ধ হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। এক শিশুর দগ্ধ মাকেও চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। ভর্তিদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আপন দেশ/জিআর/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।