Apan Desh | আপন দেশ

খতনায় লিঙ্গ কেটে ফেললেন চিকিৎসক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:০৫, ৭ মার্চ ২০২৪

খতনায় লিঙ্গ কেটে ফেললেন চিকিৎসক

ছবি: সংগৃহীত

সরকারিভাবে সিলগালা ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেখানেই খতনা করান শিশুর। তবে তা সফলভাবে হয়নি। খতনায় শিশুর লিঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেলেন চিকিৎসক। দ্রুত রক্তক্ষরণ হতে দেখে প্রতিবাদ করেন স্বজনরা। এতে চটে যান ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসক। মারধর করেন ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মাকে। ঘটনাটি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজারে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের।

বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ঘটনা ঘটে। পরে শিশুটিকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। অনুমোদনবিহীন ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১৫ দিন আগে সিলগালা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

জানা যায়, নবীগঞ্জের ফরিদপুর গ্রামের আব্দুশ শহীদের ছেলে তামিম আহমেদ (১২)। সে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বুধবার তাকে খতনা করার জন্য কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেয়া হয়। সেন্টারের মালিক সুহুল আমিন ও চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী সিলগালা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালা খুলেন। তামিমকে সেখানকার অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। 

খতনা করার সময় শিশুটির লিঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেলেন চিকিৎসক। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে ভেতরে ঢোকেন তার বাবা ও মা। দেখেন শিশুটির দ্রুত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এমতাবস্থায় তাকে চড়-থাপ্পড় দিচ্ছেন চিকিৎসক ও মালিক। প্রতিবাদ করলে তামিমের বাবা-মাকে মারধর করে বের করে দেন আমিন-জহিরুল। স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। 

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) শিশু তামিমের চাচা হারুন মিয়া নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমার ভাতিজাকে ভুল অপারেশন করে তার লিঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। সে কান্নাকাটি করলে চিকিৎসক ও মালিক তাকে মারপিট করেন। তামিমকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>> ইউটিউব দেখে খতনাকালে শিশুর মৃত্যু

এ বিষয়ে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার বলেন, ১৫ দিন আগে সিলগালা করা ডায়াগনস্টিক সেন্টার কেন খুলা হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। 

নবীগঞ্জ উপজেলার টিএইচও ডা. আব্দুস ছামাদ বলেন, অনুমোদনবিহীন কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে। কে বা কারা খুলছে আমরা বিষয়টি জানি না। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলা রেকর্ড করা হয়নি, ঘটনাটি তদন্ত চলছে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়