সোহেল রানা ও বেলন দে, ছবি : সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় আরও দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত আট জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। নিখোঁজ রয়েছে সোহেল রানার শিশু সন্তান রাইসুল (৫)।
ফায়ার সর্ভিসের ডিএডি এনামুল হক জানিয়েছেন, সোমবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের কাছে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।
তারা হলেন- ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামের সোহেল রানা (৩০) ও কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বেলন দে (৫০)। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সোমবার সকাল পৌনে ৭টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএডি এনামুল হক।
শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ২০ যাত্রীসহ একটি নৌকা মেঘনার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর কাছে ডুবে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। সেদিনই মারা যান সুবর্ণা নামে এক নারী। নিখোঁজ হন আট জন।
রোববার পর্যন্ত মৃত উদ্ধারকৃতরা হলেন- ভৈরবের কমলপুর এলাকার স্বপন মিয়ার মেয়ে সুবর্ণা (২৫), আমলাপাড়ার টুটন দের ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া মেঘলা দে আরাধ্যা (১১), আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দের ন্ত্রী রুপা দে (৩০), কনস্টেবল সোহেল রানা (৩০), তার স্ত্রী মৌসুমী (২৫), মেয়ে মাহমুদা সুলতানা ইভা (৭), নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দাড়িয়াকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা আক্তার (১৭) ও বেলন দে (৫০)।
আপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।