ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘ দম্পতি জো বাইডেন ও জয়ার সংসারে এসেছে নতুন তিন অতিথি। শুক্রবার সন্ধ্যায় শাবকগুলো জন্ম নেয়। তাদের নাম রাখা হয়েছে প্রকৃতি, স্রোতশ্বিনী ও রূপসী। সোমবার (২৫ মার্চ) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান তিন শাবকের নাম দেন।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জন্ম নেয়া তিনজনই সুস্থ আছে। কয়েকদিন পর তাদের লিঙ্গ নির্ধারণ করা হবে।
চিড়িয়াখানার কর্মীরা জানায়, বাঘিনী জয়ার জন্ম ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আর বাঘ জো বাইডেনের জন্ম ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বরে। তবে, মায়ের বিরূপ আচরণের কারণে জো বাইডেন বেড়ে উঠে মানুষের তত্ত্বাবধানেই। চিড়িয়াখানার কর্মীদের নিয়মিত যত্নেই বাইডেন সুস্থ হয়ে উঠে। পরে তাকে চিড়িয়াখানায় বাঘের কক্ষে রাখা হয়। সঙ্গে রাখা হয় বাঘিনী জয়াকে।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, ‘বাইডেন মানুষের ঘরে বড় হয়ে নিবিড় পরিচর্যার পর বাঘের ঘরে গেছে। বাঘের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য আত্মস্থ করে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে সে বংশবিস্তারের চক্রে অংশ নিয়েছে। এরপর এ প্রথম নিজের পরিবার তৈরি করেছে। ফলে বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে এটা একটা বিরল ঘটনা।’
এদিকে, নগরীর ফয়েস লেকস্থ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দুপুরে জেলা প্রশাসক ও চিড়িয়াখানার সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে গেলে বাঘ শাবকগুলোকে জনসম্মুখে আনা হয়। এ সময় তিনি শাবক তিনটি কোলে নিয়ে এগুলোর নামকরণ করেন-প্রকৃতি, স্রোতশ্বিনী ও রূপসী।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দু’টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নিয়ে এসেছিলাম। সে দু’টি বাঘ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে তিনটি শাবকসহ মোট বাঘের সংখ্যা ১৭টি। এর মধ্যে পাঁচটি বাঘ ও ১২ বাঘিনী। এখানে সাদা বাঘও রয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রাণী বিনিময়ের আওতায় দুটি বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানায় দিয়ে দুটি জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টে সম্মানার্থে সাবেক জেলা প্রশাসক বাঘটির নাম রাখেন জো বাইডেন।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।