ছবি: সংগৃহীত
আটার গোলা মেশিনে ঢুকিয়ে দিলেই বের হচ্ছে লম্বা লম্বা সেমাই। সেগুলোকে বাঁশের লাঠির ওপর বিছিয়ে শুকানো হচ্ছে রোদে। শুকানোর পর ভাঁজে ভাঁজে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে বাঁশের খাঁচায়। ঈদ এলেই এমন চিত্র দেখা যায় বিভিন্ন জেলার সেমাই কারখানাগুলোতে।
দিনাজপুরেও এর ব্যতিক্রম নয়। ঈদকে সামনে রেখে সেমাই তৈরিতে কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেমাই তৈরিতে চলে নানা নানা কসরৎ।
জেলার পুলহাট বিসিক নগরীতে সরেজমিনে এমন চিত্রই দেখা গেছে। নিজস্ব কারখানায় গম ভাঙিয়ে আটা তৈরি করে তারপর সেমাই তৈরি করছে পাটোয়ারী বিজনেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে রাতে ও দিনে পর্যায়ক্রমে ৪০ জন শ্রমিক তৈরি করছে এ সেমাই। প্রতিদিন ৭৫ থেকে ৮০ মন সেমাই তৈরি করছেন তারা। রমজানের একমাস আগে থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত।
জানা যায়, দিনাজপুরের তৈরি সেমাই সাধারণত রংপুর, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সরবরাহ করা হয়।
এদিকে, সেমাই কারিগররা জানায়, পারিশ্রমিক হাতে পাওয়ার পর পরিবার হাতে নতুন কিছু তুলে দিতে পারবে। সেই প্রত্যাশাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
পাটোয়ারী প্রাইভেট বিজনেস লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহিদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন বলেন, গুনগত মান বজায় রেখেই সেমাই তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও দেয়া হচ্ছে গুরুত্ব।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।