ছবি: সংগৃহীত
অশান্ত হয়ে উঠছে বান্দরবানের থানচি। থানায় হামলা চালিয়েছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা। হামলাকারীদের প্রতিরোধে পুলিশ সদস্যরা পাল্টা গুলি চালায়। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বিজিবি সদস্যরা।
ঘণ্টাব্যাপাী গোলাগুলিতে ভারী হয়ে ওঠে থানচির রাতের আকাশ। উভয়পক্ষ পাঁচ শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র দাবি। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে গোলাগুলি থামে। তবে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত ২টা ৩০ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সন্ত্রাসীরা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে থানচি বাজারের চারপাশে গুলিবর্ষণ করে। গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানান থানচি বাজার কমিটির সভাপতি ও থানচি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে থানচি বাজারের চারপাশে গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে তারা থানচি থানার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদের প্রতিহত করে। রাত সাড়ে নয়টা থেকে গোলাগুলি বন্ধ আছে। পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
রাত সাড়ে নয়টার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হান কাজেমি জানান, সাড়ে ৮টার দিকে কেএনএফ সদস্যরা দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাংক লুটের চেষ্টা চালায়। এসময় পুলিশ বাঁধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে বিজিবি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, রাত সাড়ে আটটা থেকে থানচি বাজার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় কেএনএফের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। মূলত দুই স্থানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। থানচি থানা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনে। পুলিশ এবং বিজিবি দুই পক্ষের সঙ্গেই গোলাগুলি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যদের চেনা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কেএনএফ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এ গোলাগুলি চলছে। কারণ দুদিন আগে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে থানচি বাজারে এসে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হানা দিয়েছে।১৭ লাখ টাকাও লুট করেছে। এরপর থেকে তাদের ধরতে অভিযানে নামে থানচি থানার পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাই নিজেদের রক্ষার্থে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। তবে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত ২টা ৩০ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।