ফাইল ছবি
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সিলেটের জালালাবাদ। প্রতিপক্ষের হামলায় তাজুল ইসলাম নামের এক যুবক মারা গেছে। বৃহস্পতিবারের এ ঘটনাকে সামনে রেখে আজ শুক্রবার উত্তেজনায় ঘি পড়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে। হত্যা মামলার আসামি ধরতে তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ওসি।
মামলা ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, ৩১ মার্চ সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন তাজুল ইসলাম নামে যুবক। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই হামলা চালায় স্থানীয় সাজিদ বাহিনী। হামলায় তাজুলসহ চারজন আহত হন। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী আরও জানান, শিবের বাজার এলাকার আলতা বাহিনী ও সাজিদ বাহিনীর নানা অপকর্মের কারণে এক সময় বেশ আলোচিত ছিল। এ দুই বাহিনীর প্রধান আলতা ও সাজিদকে সঠিক পথে ফিরে আসার শর্তে স্থানীয় হাটখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বানিয়েছিলেন এলাকাবাসী। কিছু দিন সব ঠিক মতোই চলে। পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের এলাকায় গরু চুরি, ডাকাতি ও মাদক বিক্রি শুরু করে তারা।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, আলতা বাহিনীর প্রধান আলতা মারা যাওয়ার পর আরও বেপেরায়া হয়ে ওঠে সাজিদ। তার একক রাজত্ব কায়েম করতে এলাকায় নানা অপকর্ম চালাচ্ছে তার লোকজন।
নিহতের চাচা আজবর আলী জানান, সাজিদ বাহিনী তাদের পরিবারের বেশ কিছু জমি দখল করে রেখেছে। সম্প্রতি আরও কিছু জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর জের ধরে ৩১ মার্চ ইফতারের আগে সাজিদ আলীসহ বেশ কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে তার ছেলে জামাল ও ভাতিজা তাজুল এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালায়। এতে তাজুল, জামালসহ চারজন আহত হন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাজুলকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে তাজুলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করছেন এলাকার লোকজন। এ ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানায় নিহতের চাচা আজবর আলী বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
জালালাবাদ থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামি ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।