Apan Desh | আপন দেশ

নামাজের মাসাআলা নিয়ে বিতণ্ডা, সংঘর্ষে আহত ১৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:০১, ৭ এপ্রিল ২০২৪

নামাজের মাসাআলা নিয়ে বিতণ্ডা, সংঘর্ষে আহত ১৫

ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মসজিদের ভেতরে নামাজের মাসাআলা নিয়ে কথা কাটাকাটির দু’পক্ষের। এর জের ধরে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরচারতলায় এ ঘটনা ঘটে। মোল্লা বাড়ি ও কিছকি বাড়ি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে বিষয়টি শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে মোল্লাবাড়ির নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা ইমামতি করেন। শুক্রবার এশা ও তারাবিহ নামাজ শেষে মসজিদের মুসল্লি কিছকি বাড়ির নেতা ঠিকাদার শফিকুর রহমান ইমামের অনুমতি নেন। পরে নামাজের কিছু মাসাআলা নিয়ে মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতে মুসল্লিদের দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে নামাজ শেষে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
 
এ ব্যাপারে মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘তারাবিহ নামাজ শেষে শফিকুর রহমান দু’মিনিট কথা বলতে অনুমতি চাইলে আমি অনুমতি দেই। তিনি তার বক্তৃতায় এ মসজিদের কোন মুসল্লিরই নামাজ হয় না বলে ফতোয়া দেন। উপস্থিত মুসল্লিরা প্রতিবাদ করে। এতে শফিকুল ইসলামের বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদসহ আমাদের বাড়ির লোকজনের উপর হামলা করে। এ সময় আমাদের বাড়ির ৫ জন গুরুতর আহত হয়।’ 

তবে মসজিদের মুসল্লি ঠিকাদার শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি তারাবিহ নামাজ শেষে নিয়ম অনুযায়ী অনুমতি নেই। নামাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসাআলার বিষয়ে ইমাম সাহেব ও মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। নামাজের প্রয়োজনীয় তাসবিহ পাঠের জন্য রুকু, সেজদা ও দাঁড়ানোতে পর্যাপ্ত সময় দান, কাতার সোজা রাখার গুরুত্ব নিয়ে এসব বিষয়ে খেয়াল দিতে ইমামকে অনুরোধ করি। এতে ইমাম সাহেব ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের ভেতরেই আমাকে নাজেহাল করে। পরে তারা আমার ও আমার এক ভাইয়ের বিল্ডিংয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এছাড়া আমার ব্যবহারের গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তারা। এ সময় আমদের বাড়ির ৮ জন গুরুতর আহত হয়।’

ওই এলাকার স্থানীয়রা জানায় ভিন্ন কথা। মসজিদের মাসাআলা সংক্রান্ত বিষয়টি অজুহাত মাত্র। তাদের কথায়, ‘চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম স্থানীয় একটি আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। মাদ্রাসাটির নামকরণ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। মসজিদের মাসাআলা সংক্রান্ত বিষয়টি একটি অজুহাত মাত্র।’

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ওসি নাহিদ আহাম্মেদ জানান, ‘সংঘর্ষ বাধার পর পুলিশ উপস্থিত হয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ প্রায় ৩৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষে অফিসারসহ তিনজন পুলিশ আহত হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়