ছবি : সংগৃহীত
জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রেলপথের ঝিনাই নদের ওপর রেল সেতুর স্লিপারে লোহার ক্লিপের বদলে বাঁশের ক্লিপ লাগানো হয়েছে। এছাড়া এ লাইনের বেশির ভাগ স্লিপারও নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিদিন দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে ১২ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। দ্রুত এ রেলসেতুটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি ট্রেন যাতায়াত করে। এসব ট্রেনের মধ্যে আন্তঃনগর তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র ট্রেনের গতি বেশি থাকে। ওই সেতুটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি, কাঠের স্লিপার পাল্টানো হয়নি। বেশ কিছু আগের স্লিপার রয়েছে। যেগুলো এখন একবারে নষ্ট হয়ে গেছে। পুরাতন কাঠের স্লিপার নরম হয়ে গেছে। এ সুযোগের কিছু লোক লোহার ক্লিপ খুলে নিয়ে গেছে। বর্তমানে লোহার ক্লিপ জায়গায় বাঁশের ছোট টুকরা ঢোকানো হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর ঝিনাই নদের ওপর প্রায় ৩০০ মিটার দৈর্ঘের এ রেলসেতুটিতে ৩১৮ স্লিপার রয়েছে। সেতুটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন তিনটি আন্তঃনগর ট্রেনসহ ১২ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। যাদের ঘণ্টায় গতি ৫০-৬০ কিলোমিটার।’
সরেজমিন দেখা যায়, ‘রেললাইনে কাঠের স্লিপারের সঙ্গে লাইন আটকানোর জন্য লোহার ক্লিপ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ঝিনাই নদের রেলসেতুর ওপর কাঠের স্লিপারের সঙ্গে লাইন আটকানোর জন্য লোহার ক্লিপের বদলে বাঁশের ছোট ছোট ক্লিপ ব্যবহার করা হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও বাঁশের ক্লিপ নেই। আবার কিছু কিছু কাঠের স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে।’
পৌর শহরের পাথালিয়া পশ্চিমপাড়া মমিন শেখ বলেন, আমি এখানে আবাদ করি, বেশি সময় ব্রিজের পাশেই থাকি। এখানে রেলসেতুতে লোহার ক্লিপের জায়গায় বাঁশের কছি দেয়া হয়েছে। অনেক সময় মানুষ ঘুরতে এসে লোহার ক্লিপ খুলে নিয়ে যায়। ব্রিজের বেশির ভাগ জায়গায় লোহার ক্লিপ নেই।
আরও পড়ুন>> ফেসবুকে হা হা রিয়েক্টকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গ্রেফতার ৮
একই এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী শামীম আহাম্মেদ বলেন, লাইনের বেশিরভাগ স্লিপারে ক্লিপ নেই। আবার কিছু জায়গায় লোহার ক্লিপের পরিবর্তে বাঁশের ক্লিপ লাগানো হয়েছে। কিছু বাঁশের ক্লিপ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
রেলওয়ের লাইনের দায়িত্বরত পিডব্লিউআই (পারমানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টর) মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘রেল সেতুটির অনেক স্লিপারই নষ্ট হয়ে গেছে। বেশ কিছু জায়গায় ক্লিপও নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করা দরকার।’
জামালপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে এখানে যোগদান করেছি। রেলওয়ে সেতুর বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সেতুটি পরিদর্শন করেছি। দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।’
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।