ফাইল ছবি
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে ১১ বছরের এক শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেলেছেন হাজাম (খতনাকারী)। ঘটনার পর আহত শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার করেন।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সোবাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিশু ওই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। হাজাম (খতনাকারী) আকবর আলী উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নতুন চর-আলগী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার পর অসুস্থ নির্জরের পরিবারের লোকজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন।
আরও পড়ুন <> খেয়ানৌকার মাঝি রিনার সাদাকালো জীবন
ভুক্তভোগীর চাচাতো বোন নাদিরা বেগম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’
প্রত্যক্ষদর্শী শিশুটির চাচাতো বোনজামাই শাফায়েত হোসেন বলেন, ‘খতনা করার সময় আমি নির্জনকে ধরে বসেছিলাম। প্রথমবার নির্জনের পুরুষাঙ্গের চামড়া কাটার পর খতনা হয়নি বলে দ্বিতীয়বার কাটতে গিয়ে গোপনাঙ্গের অর্ধেকের বেশি অংশ কেটে ফেলে দেন হাজাম।’
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, খতনাকারী আকবর আলী শিশুটির সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লিঙ্গের নির্ধারিত অংশের থেকে বেশি কেটে ফেলেন। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা। সেখানে তার লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
অভিযুক্ত আকবর আলী (হাজাম) গোপনাঙ্গ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি ভুলে ওই শিশুর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছি।’
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, এবিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।